চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু থেকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতবাসীর ওপর। গোটা দেশের হাল বেহাল হয়ে উঠেছে প্রচুর পরিমাণ সংক্রমনের মোকাবিলা করতে গিয়ে। প্রায় প্রতিদিন ৪ লাখের কাছাকাছি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও সংক্রমণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। আসলে প্রথম ঢেউয়ের রেশ সামলে ওঠার আগে ভারতের বুকে নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন নিয়ে আঘাত হেনেছে দ্বিতীয় স্ট্রেন।
তবে সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান উঠে আসছে যেখানে বলা হচ্ছে দেশের সমস্ত শহরগুলির মধ্যে অনগ্রসর শ্রেণীতে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ গুন হয়ে গেছে। বলা হয়েছে, গত ৫ মে অব্দি মোট ২৭২ জেলায় ৩১.১৬ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। গত বছর সেপ্টেম্বরে মোট ৯.৫ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এমনকি চলতি বছরে একটিভ করোনা কেস অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনো দ্বিতীয় ঢেউয়ের শীর্ষে পৌছানোর আগেই গ্রামাঞ্চলে বা অনুন্নত শ্রেণির ৭.১৫ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত, যা গত বছরের তুলনায় ৩-৪ গুণ বেশি। এই সংখ্যা আরো অনেকটা বাড়তে পারে। এত সংখ্যক সক্রিয় করোনা কেস থাকায় দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়তে চলেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে অনগ্রসর রাজ্যগুলির মধ্যে ৫৪ শতাংশ পাঁচটি জেলাতে সীমাবদ্ধ। সেই রাজ্যগুলি হল বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, উত্তর প্রদেশ। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের অনগ্রসর জেলাগুলিতে তহবিল পাঠানো হয়েছে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে গত ৫ মে অব্দি ২৪৩ টি জেলায় ৩৬ হাজার ৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৯৫৫৫।