একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গবাসী মমতা ম্যাজিকে ভরসা রেখে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে বিশাল মার্জিনে জিতিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল এবার ২৯৪ আসনের মধ্যে ২১৩ টি আসন পেয়েছেন এবং বিজেপি মাত্র ৭৭ টি আসন পেয়েছে। গত বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণ করে তৃতীয়বারের জন্য আগামী ৫ বছর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিত হাসিল করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন মুকুল রায়। এরপর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিকে প্রবল চাপানউতোর চলছে যে বিজেপির বিরোধী দলনেতা পদে কে বসবে? শুভেন্দু অধিকারী না মুকুল রায়?
গতকাল অর্থাৎ শনিবার এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার দিল্লি বাসভবনে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর নাম সুপারিশ করেন। এছাড়াও অনেক কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দলের বিরোধী দলনেতা পদে দেখতে চাই। এইজন্য বিরোধী দলনেতা বাছার দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব। তারা আগামী কাল অর্থাৎ সোমবার বিরোধী দলনেতা বেছে নেবেন।
অন্যদিকে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে যে তিনি বিরোধী দলনেতা হতে চান না। কারণ তিনি ইতিমধ্যেই বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে আছেন। তার ওপর তিনি আবার একটি দায়িত্ব চান না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুইদিন আগে বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল যে মুকুল রায় হয়তো গেরুয়া শিবির ছেড়ে আবার তৃণমূল এ যোগদান করুন। কিন্তু গতকাল সকালে তিনি নিজেই টুইট করে স্পষ্ট করেছেন যে তিনি গেরুয়া সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চান।