গত বছর ১২ই সেপ্টেম্বর রাজ শুভশ্রীর পরিবারে আসে নতুন সদস্য। সেদিন এই একরত্তি ছেলে দুজনের ভালোবাসার প্রতীক হয়ে ঘর আলো করে আসেন তাঁদের এই ছোট্ট ছেলে। এই একরত্তির নাম দিয়েছেন ভালোবেসে ইউভান। ইউভান জন্মের সাথে সাথে দুজনেই বিকেলেই ছেলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। একজন মায়ের কাছে সন্তান জন্মের প্রতিটি মুহূর্ত যেমন খুব স্পেশাল তেমনি একজন পিতার কাছে সন্তান সুন্দর মুহূর্ত খুবই স্পেশাল। রাজ ও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ইউভানের ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সাক্ষী ছিলেন রাজ চক্রবর্তী নিজেই। এই একরত্তি এখন অভিনেত্রীর নয়নের মনি।
ইউভানের য়স মাত্র সাত মাস। জন্মের পর থেকেই কখনো বাবার কোলে কখনো মায়ের কোলে মানুষ হয়। এর মাঝেই শুভশ্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন এপ্রিল মাসের শেষে। নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অসুস্থতার খবর জানিয়েছিলেন শুভশ্রী। সেইসঙ্গে অনুরাগীদের জানিয়েছিলেন,সুস্থ আছে ছেলে ইউভান। তবে ছেলেকে ছেড়ে খুব কষ্টে আছেন তিনি। ইউভানের জন্মের পর প্রতিটি মুহূর্ত ছেলের সাথে সময় কাটিয়েছেন, তবে করোনার জন্য তাঁকে ছেলেকে ছেড়েই থাকতে হবে। এতটা সময় মায়ের থেকে দূরে থাকা ইউভানের পক্ষে শুধু কঠিন ছিলনা, শুভশ্রীর জন্যও একটা লড়াই ছিল।
নিভৃতবাস কাটিয়ে ১৭ দিন পর সুস্থ হয়ে ছেলের কাছে ফিরতে পেরে সবচেয়ে আনন্দিত তিনি। অনেকদিন পর তাই মাকে কাছে পেয়ে খুশি ইউভানও। রূপোলি পর্দার নায়িকা এখন কাজ ভুলে ছেলেকে নিয়ে দিব্যি আছেন। ছেলেকে মানুষ করার জন্য কাজ করতে পারছেননা তাতে অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই। বরং দিনের বেশিরভাগ সময় ছেলের সাথে কাটাতে বেশি ভালোবাসেন শুভশ্রী। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ছেলের উদ্যেশ্যে বলেছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই তিনি মা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন আর আজ ইউভানকে পেয়ে অভিনেত্রীর স্বপ্ন সত্যি।
তবে ছেলে হওয়ার পর অভিনেত্রী শারীরিক গঠন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। একজন মানুষকে ৯ মাস নিজের মধ্যে রেখে তার প্রসবের পর প্রত্যেক মায়ের চেহারার পরিবর্তন হয়। অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এর জন্য নানা কটাক্ষ শুনলেও অভিনেত্রীর এখন কিচ্ছু যায় আসেনা। ভগবানের আশীর্বাদে এত সুন্দর মিষ্টি সন্তান পেয়েছেন অভিনেত্রীর কাছে তাই যথেষ্ট। ছোটু ইউভান এখন নিমেষে বড় হয়ে যাচ্ছে যা দেখে শুভশ্রী অবাক। ছেলের বড় হওয়া বেশ এনজয় করছেন অভিনেত্রী।
এটাই তো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। নিজের মধ্যে তিলে তিলে একটা মানুষকে সৃষ্টি করেছি। তার জন্য শারীরিক পরিবর্তন হওয়াটা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক আজ মনের কথা উজাড় করে বললেন। অভিনেত্রী মনের কথা জানাতে গিয়ে বলেন যে ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রীর নাকি মা হওয়ার সপ্ন ছিল। যখন ডিসকভারি চ্যানেলে পশু পক্ষীদের মাতৃত্ব বা প্রসব দেখাতো তখন থেকেই মা হওয়ার ইচ্ছা মনে চেপে বসেছিল। পাশাপাশি অভিনয় করার ইচ্ছেও তৈরী হয়েছে বড় হওয়ার সাথে সাথে। অভিনেত্রী বলেন যে এর আগে অভিনয় জগতে কেউ ছিলেন না তার পরিবার থেকে। বনেদি পরিবার কেউ শিক্ষকতা বা কেউ অন্য কোনো প্রফেশন।
y