এতদিন ধরে আংশিক লকডাউন করার পরেও তেমন কিছু সুবিধা হচ্ছিল না। অবশেষে নবনির্বাচিত তৃণমূল সরকার সিদ্ধান্ত নিল এবারে ডাকতে হবে লকডাউন। এই লকডাউনে সাধারণ মানুষের নিত্যব্যবহার্য কিছু জিনিসের উপর ছাড় দিয়ে অন্যান্য সব কিছু ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। স্কুল কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে চা বাগান এবং চটকলে কর্মী উপস্থিতি, অন্যদিকে আবার বাজার খোলার সময় থেকে শুরু করে ব্যাংকের কাজের সময় সবকিছুর উপরে আরোপ করা হয়েছে একটা সময়ের বাঁধন।
এই লকডাউনে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করে দিয়েছে, বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত। এছাড়াও ওই তিন ঘন্টা সময় আপনারা মুদির দোকান, মাছ মাংসের দোকান এবং দুধের দোকান খোলা পাবেন। তার সাথেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান থাকবে খোলা। এতদিন পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে ১০ টা ছাড়াও বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকতো বাজার। এবারে বিকেলের সময়টা বাজার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুদি দোকানকে এই সময়সীমার আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সমসাময়িক সময়ে বাড়তে থাকা করোনার গ্রাফ চিন্তায় ফেলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার ফলপ্রসূ এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নতুন করে লকডাউনের ঘোষণা করলেন।
নতুন নির্দেশিকায় মুদির দোকান, দুধের দোকান খোলা ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা জারি করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ধরনের অনলাইন পরিষেবা আপনারা গ্রহণ করতে পারবেন। তার পাশাপাশি মিষ্টির দোকান খোলার একটা নির্দিষ্ট সময়ে রয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে। চশমা এবং ওষুধের দোকান জরুরী পরিষেবা মধ্যে পড়ে তাই এই দুটি দোকান খোলা থাকবে সারাদিন।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ১৬ মে রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩০ মে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নতুন নিয়মাবলী কার্যকর হবে। এই সময়ের বাঁধন সকলকে মানতেই হবে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।