সঙ্গীতজগতের এক বিতর্কিত নাম হল নোবেল। একের পর এক ভুল করেই চলেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক মঈনুল আহসান নোবেল। একটা বিতর্ক শেষ হতে না হতেই নতুন কিছু বিতর্কে হামেশাই জড়িয়ে পড়েন সারেগামাপা খ্যাত এই বাংলাদেশি গায়ক। কখনো গান চুরির অপবাদ আবার কখনো স্ত্রীকে অত্যাচারের অপবাদে একাধিকবার খবরে শিরোনামে এসেছেন নোবেল। সারেগামাপার মাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে নিজের গানের পরিবর্তে এখন এদেশে নানান সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন নোবেল।
সম্প্রতি মাঈনুল আহসান নোবেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বাংলাদেশের রকস্টার জেমসকে নানান কটূক্তি করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অশ্লীল পোস্ট করা হয়। পরে গায়ক নিজের হয়ে বলেছেম তিনি এসব কিছুই করেননি নাকি তাঁর পেজ নাকি হ্যাক করা হয়েছিল। এবার নিজের সব স্পর্ধা পার করে সাংবাদিককে প্রকাশ্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ নোবেলর নামে। আর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি অর্থাৎ বাচসাস।
সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছিরকে মোবাইল ফোনে তাঁকে অপহরণের হুমকি দিয়েছেন নোবেল। এরপরই সেই সাংবাদিক ঢাকার কলাবাগান থানায়, জেনারেল ডায়েরি করেছেন নোবেলের নামে। আল কাছির অভিযোগ জানান, কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজ সাথে অপহরণ করার এমনকি জেলে ভরার হুমকি দিয়েছেন নোবেল। এসব শুনে পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করবেন। তবে এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও বেশ ক্ষিপ্ত।
বাচসাস সাংগঠনিকের তরফে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, নোবেলের এমন আগ্রাসী আচরণের তারা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নোবেলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এমন আচরণ যদি ভবিষ্যতে তিনি দেখেন তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর ভবিষ্যতের কোন সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণ করেন তাহলে গায়ককে বয়কট করে দেওয়া হবে। এমনকি যারা তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধেও বাচসাস সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এরপর ও অহংকারী নোবেল থেমে নেই। পুলিশে তাঁর নামে জিডি দায়ের নিয়েও নানা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, জিডি নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন তিনি। অপর এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখলেন, তিনি একজন গায়ক! গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। নকল ভদ্রতা বিক্রি করে নয়। হ্যাঁ তিনি জন্মগত ভাবে বেয়াদব। তাহলে কি নোবেল একইরকম থাকবেন।