২০১৪ সালে ‘ইয়ারিয়া’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন দক্ষিণের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাকুলপ্রীত। এরপর নীরজ পান্ডের পরিচালিত সিদ্ধার্থ মালহোত্রা বিপরীতে ‘আইয়ারি’তে, অজয় দেবগণের সাথে “দে দে প্যায়ার দে দে” সিনেমায় অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন। সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও তারা সুতারিয়ার সাথে ‘মারজাওয়ান ‘ সিনেমাতে মুখ্য ভূমিকায় তিনি অভিনয় করেছিলেন। এরপর অজয় দেবগণের পরিচালনার ছবি মেডে-তেও দেখা যাবে তাঁকে। সম্প্রতি ওয়েব দুনিয়াতে ‘সর্দার কা গ্র্যান্ডসন’ ছবি দিয়ে পা রাখলেন।
অভিনেত্রীর বলিউডে কেরিয়ারগ্রাফ এখনো বেশ ভালো। আবারো এক্কেবারে নতুন চরিত্রে কাজ করবেন রাকুলপ্রীত। এবারে কনডোম টেস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই সিনেমায় অভিনেত্রীর চরিত্র হল গর্ভনিরোধক পরখ করা। একটি সংস্থার কর্মী তিনি। বিভিন্ন গর্ভনিরোধকের মান বিচার করা তাঁর প্রধান কাজ। এক্কেবারে ভিন্ন চরিত্রে প্রথমবার কাজ করবেন অভিনেত্রী। রনি স্ক্রুওয়ালা প্রযোজিত এই ছবির প্রথম পছন্দ রকুল প্রীত সিংহ। এই সিনেমার পরিচালনার দায়িত্বে আছেম তেজস দেওস্কর। এখনো ছবির নাম এখনও ঠিক হয়নি।
রাকুল এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এমন একটি চরিত্র তাঁর কাছে ভীষণ নতুন। এই চরিত্রে কাজ করার জন্য তিনি বেশ উত্তেজিত। এ রকম একটা সিনেমায় আলাদা চরিত্র করার জন্য তিনি নানান পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পারবেন। শুধুমাত্র নিজের চরিত্র নয়, ছবির বিষয়বস্তু দেখে এই ছবিতে কাজ করতে চেয়েছেন। অভিনেত্রী মনে করেন, এ রকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ছবি হওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে সচেতনা আরো বাড়বে।
আজ ও বহু মানুষ কন্ডোম টেস্টার বিষয়ে অজ্ঞাত আছেন। মূলত দেশের নামী ব্র্যান্ডের কন্ডোম তৈরির কারখানাগুলি কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি করেন। কারখানা থেকে কন্ডোমগুলি তৈরি হলে এগুলি চুক্তিবদ্ধ প্রাপ্তবয়স্কদের দেওয়া হয়। তারপর সে তার সঙ্গীর সাথে যৌন সঙ্গম করে সেই কন্ডোমের কার্যক্ষমতার রিপোর্ট দেয়। আর এই কন্ডোম টেস্টারদের রিপোর্ট বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ওপর ভিত্তি করেই এই কন্ডোম কোম্পানিগুলি বাজারে নতুন কন্ডোম নিয়ে আসে। আর এই ছবিতে এমনই এক মূল চরিত্রে এঅ কন্ডোম টেস্টারের ভূমিকায় দেখা মিলবে রকুল প্রীত সিংয়ের।
এই সিনেমার শ্যুটিং শুরু হয়নি। শুরু হতে বছরের শেষ। পরিচালক তেজস এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আজ ও সমাজে গর্ভনিরোধক বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে ছুঁৎমার্গ আছে। সাধারণ মানুষের এই নাক সিঁটকানো ব্যপারটা দূর করতেই সিনেমার বিষয়বস্তুর কথা মাথায় রাখা হয়েছে। আর তিনি আরো জানান, রকুলকে সিনেমার বিষয়বস্তু বলতে আর তিনি চিত্রনাট্য পড়ার সাথে সাথে রাজী হয়ে যান’।