Black Fungus Death in Kolkata : নয়া আতঙ্কের নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস! আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু কলকাতার এক মহিলার
করোনা সংক্রমনের সাথে সাথে এবার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে নয়া আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ। এই রোগ সম্প্রতি কলকাতার এক মহিলার ধরা পড়েছিল যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। হরিদেবপুরের বাসিন্দা শম্পা চক্রবর্তী করোনা আক্রান্ত হলে তাকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখানে জানা যায় ওই মহিলার করোনার সাথে সাথে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগও হয়েছে। বিষয়টি ধরা পরলে মহিলার অ্যান্টি ফাঙ্গাল ট্রিটমেন্ট শুরু হয়। কিন্তু ততক্ষণে তার সংক্রমণ মস্তিষ্ক, চোখ, চোয়াল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করে দিয়েছিল। এছাড়াও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ভোরে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের ডাক্তার ওই মহিলার ডেথ সার্টিফিকেটে করোনা ভাইরাস এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দুটি রোগের বিষয় উল্লেখ করেছেন। এর ফলে রাজ্যের প্রথম ব্ল্যাক ফাংগাস রোগে মৃত তালিকা শুরু হল। তবে অনেকের মনেই এখনো প্রশ্ন রয়েছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগটা আসলে কি? ডাক্তারি পরিভাষায় মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগটি হলো একটি অত্যন্ত গুরুতর ও বিরল ছত্রাক সংক্রমণ। বর্তমানে যাদের শরীরে করোনার সংক্রমণ হচ্ছে তাদের এই রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ গোটা দেহে ছড়িয়ে পড়লে মৃত্যু অবধারিত। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই রোগকে “মহামারী” বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের উপসর্গ হলো অসাড় মুখ, একদিক নাক বন্ধ, চোখ ফোলা, ব্যথা, জ্বর, কাশি, মাথা যন্ত্রণা ইত্যাদি। এছাড়াও ত্বকের যে কোন জায়গায় আঘাত লাগলে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকদের মতে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের শরীরে এমনিতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে। এর ফলে তাদের শরীরের সবচেয়ে বেশি করে এই ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানুষ থেকে মানুষে বা কোন প্রাণী থেকে মানুষে এই রোগ সংক্রমণের কোন সম্ভাবনা নেই।