Today Trending Newsনিউজরাজ্য

Cyclone Yaas : ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এখন কোথায় ও কবে আছড়ে পড়বে, জানাল হাওয়া দপ্তর

বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে রয়েছে

Advertisement

গতবছর আম্ফান ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির বাসিন্দারা। তারা কিছুটা সামলে ওঠার আগেই আবারও শঙ্কা সৃষ্টি করছে ঘূর্ণিঝড় যশ। এই করোনা পরিস্থিতিতে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত দক্ষিণবঙ্গ জেলাগুলির মানুষের জীবনে উপস্থিত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের আশংকা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের মতে এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য অভিমুখ বাংলা ওড়িশা। এর প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে সুন্দরবনলাগোয়া অঞ্চলগুলিতে। একাধিক জায়গায় ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কিন্তু বর্তমানে যশ ঘূর্ণিঝড় অবস্থিত কোথায়?

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় যশ মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তবে এই ঝড়টি এখনও অব্দি শক্তি সঞ্চার করে নি। কোন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আগে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। গভীর নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। বর্তমানে যশ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আশা করা যায় আগামী ৭-৮ ঘন্টার মধ্যে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে যাবে। আশঙ্কা মত, এই ঘূর্ণিঝড় মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে উপর দিকে এসে ওড়িশা ও বাংলার মধ্যবর্তী জায়গায় অর্থাৎ দীঘা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তবে এখনো অব্দি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর নিশ্চিত ল্যান্ডফলের ঘোষণা করেনি।

ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে গতবছরের ভুল করতে চায় না রাজ্য প্রশাসন। তাই তারা অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এখন থেকেই দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজেদেরকে আত্মনিয়োজিত করেছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে যে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৩ তারিখ থেকে নিচু অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এলাকায় এলাকায় চলছে মাইকিং। ২৩ মে থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গোটা জেলায় ১১৫ টি সাইক্লোন সেন্টার খোলা হচ্ছে। খারাপ পরিস্থিতির জন্য স্কুল বাড়িগুলিকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button