কথা দিয়ে কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই জানিয়েছিলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, হকার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি। যেরকম বলা, সেরকম কাজ, আগামী সপ্তাহেই কলকাতায় কেএমসি এর তত্ত্বাবধানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, হকার, পরিবহন কর্মী, মুদি, সবজি এবং মাছ বিক্রেতাদের করোনা টিকাকরনের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
এই টিকা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের WhatsApp এর মাধ্যমে বুধবারের মধ্যে নিজের নাম, বয়স্ এবং পরিচয়পত্র পাঠিয়ে স্লট বুক করতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার কলকাতার ৯৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাদেরকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। আর এই টিকাকরণ কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে।
আগামী সপ্তাহে তিনদিন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, মাছ বিক্রেতা, মুদিখানার দোকানের কর্মচারী এবং মালিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মতো মানুষেরা টিকা পাবেন। আর তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গের কোন প্রমান পত্রের প্রয়োজন দিতে হবে না। তাদেরকে শুধুমাত্র পুর-নিগমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নিজেদের প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ এর ব্যবধান ১২ থেকে ১৪ সপ্তাহ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৮৪ দিন। এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহে একদিন (এক্ষেত্রে সোমবার) ৯৬ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। আপনারা প্রায় সকলেই জানেন, শিশুদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি চলে বুধবার। সেরকম সোমবার দেওয়া হবে করোনা টিকা, মঙ্গলবার কোন টিকাকরণ কর্মসূচি হবেনা জায়গাটি স্যানিটাইজ করা হবে, আর বুধবার হবে শিশুদের প্রয়োজনীয় নানারকম টিকা দেওয়ার কর্মসূচি।