Cyclone Yaas : ল্যান্ডফল জোন থেকে কলকাতা মাত্র ২০০ কিমি দূরে, ‘যশ’-এর কতটা প্রভাব পড়বে তিলোত্তমায়?
বালেশ্বরে ঘূর্ণিঝড় যশের ল্যান্ডফল হবে
আমফানের মতোই তার বিধ্বংসী রূপ নিয়ে বাংলার দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ। তবে এরইমধ্যে বঙ্গবাসীর জন্য একটি খুশির খবর হল যে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল বাংলায় হবে না। তাহলে প্রশ্ন যশের প্রভাব কি কলকাতায় আম্ফান এর মতই হবে? উত্তরে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, কখনোই আম্ফান আর যশ এর প্রভাবে একইরকম হবে না। যশ অনেক বেশি শক্তিশালী। তবে এর ল্যান্ডফল হবে বালেশ্বরে। আর আম্ফান সাগরের ধাক্কা খেয়ে গিয়েছিল কলকাতার বুক চিরে। তাই দুই ঝড়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে।
আগামী ২৬ মে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ বালেশ্বর ও দীঘার মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়বে। গতকাল অর্থাৎ ২৪ মে থেকেই বাংলার উপকূলবর্তী জেলা ও কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ২৫ মে অর্থাৎ আজ কলকাতায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে সাথে সকাল থেকেই ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় বইতে পারে। আগামীকাল এই ঝড়ের গতিবেগ ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হবে।
প্রসঙ্গত, এই ঘূর্ণিঝড় যশ বালেশ্বরে ল্যান্ডফল করছে। বালেশ্বর থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ২০০ কিলোমিটার। তাই এই ঝড়ের প্রভাব কলকাতা শহরে পড়লেও তা আমফানের মতো ভয়াবহ হবে না। তবে প্রশাসন এখন থেকেই সমস্ত রকম দুর্ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকছে। প্রশাসন এই ঝড় মোকাবিলা করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিচ্ছে:
- উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিদ্যুৎ কর্মীদের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
- গুরুত্বপূর্ণ এলাকার জন্য কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করা হয়েছে।
- জেলায় জেলায় ২০ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি পাঠানো হয়েছে।
- ৪৫০ টি ট্রান্সফর্মার ও ২৫৫ কিলোমিটার বিদ্যুতের তার পাঠানো হয়েছে।
- কলকাতা পুরসভার প্রতি ওয়ার্ডে দুটি করে দল গঠন করা হয়েছে।
- বিদ্যুৎদপ্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
- জল সরবরাহ ও টেলিকম পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হবে।