রাজ্যে বাড়ল আরও ১৫ দিনের লকডাউন, ঘোষণা মমতার
কয়েকটি ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে নতুন নিয়ম
সারা ভারতের পাশাপাশি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আজকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তর্বর্তী ঘোষণা জারি করে আরো ১৫ দিনের জন্য কার্যত লকডাউনের সময়সীমা বর্ধিত করলেন। অর্থাৎ এবারে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত কার্যত লকডাউন চলবে পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন গত ১৫ দিনের কার্যত লকডাউনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই আরো একবারের জন্য এই লকডাউনের সময়সীমা বর্ধিত করা হলো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছেন, “আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা যে রকম বাধা নিষেধ জারি করেছি তার জন্য এই করোনা পরিস্থিতির অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। আপনাদের ধন্যবাদ এই পরিস্থিতিতে আমাদের সাহায্য করার জন্য।”
নিয়মাবলি –
১. সমস্ত সরকারি অফিস এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিসের অফিসগুলি।
২. সমস্ত স্কুল-কলেজ, পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
৩. আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা, অটো পরিষেবা এবং মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ট্যাক্সি পরিষেবা চালু থাকতে পারে তবে তা শুধুমাত্র জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে। মালপত্র ভর্তি ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। ট্রাক চালালে শুধুমাত্র চিকিৎসা সামগ্রী, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং খাদ্য সামগ্রী পরিবহন করা যাবে।
৪. শপিং মল, সুইমিং পুল এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
৫. দোকান বাজার সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই তালিকায় রয়েছে মুদিখানা, খুচরা দোকান এবং নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসের দোকান।
৬. মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
৭. ওষুধের দোকান এবং চশমার দোকান খোলা থাকবে।
৮. সমস্ত ই-কমার্স পরিষেবা চালু থাকবে।
৯. এটিএম এবং ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত।
১০. বিয়ে বাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারেন।
১১. শবদেহ সৎকারের জন্য সর্বাধিক উপস্থিতি ২০ রাখা হচ্ছে।
১২. রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমস্ত সমাবেশ বন্ধ থাকবে।
১৩. চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের ছাড় দেওয়া হবে।
১৪. চা বাগানে ৫০% উপস্থিতি সর্বাধিক। চটকলে উপস্থিতির পরিমাণ সর্বাধিক ৪০%।
১৫. রাত ৯ টার পরে রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি হবে।
১৬. বেসরকারি ক্ষেত্রে যারা কনস্ট্রাকশনের কাজ করবেন তাদের অবশ্যই ভ্যাক্সিনেশন নিতে হবে নতুবা কাজ করা যাবে না।