পেঁয়াজের গায়ের কালো আস্তরণ কি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা
করোনা সংক্রমনের পাশাপাশি দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস রোগ। একদিকে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমশ গগনচুম্বী রূপ নিচ্ছে। পাশাপাশি তার দোসর হিসেবে আস্ফালন বাড়াচ্ছে কৃষ্ণ ছত্রাকের থাবা। কিছুদিন আগেই কেন্দ্র সরকার এই রোগকে মহামারীর নাম দিয়েছে। এই রোগের প্রভাব দেখা যাচ্ছে বাংলাতেও। একের পর এক জেলায় এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই এই রোগে রাজ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে যেখানে দাবি করা হয়েছে ফ্রিজের খাবার থেকে নাকি ছড়াতে পারে এই রোগ। কিন্তু তা কি আদেও সত্যি?
গোটা দেশজুড়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তার প্রভাব বিস্তার করার সাথে সাথে আসতে আসতে বাংলার বুকে থাবা চওড়া করছে এই ছত্রাকের সংক্রমণ। এর মাঝেই ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে সুস্থ থাকার একাধিক উপায়। বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয়েছে বাড়িতেই নাকি রয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। অনেক সময় পেঁয়াজ কিনলে তার গায়ে কালো আস্তরণ দেখা যায়। এগুলি নাকি আসলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এছাড়া ফ্রিজের মধ্যে থাকা রবারের গায়ে কালো দাগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে মিউকরমাইকোসিস। তবে এই ফেসবুক পোস্ট কি আদেও বিশ্বাসযোগ্য?
এই প্রসঙ্গে আমেরিকার কৃষি দপ্তরে জানানো হয়েছে, পেঁয়াজের গায়ে যে কালো আস্তরণ থাকে তা আসলে মাটিতে থাকা একটি সাধারন ফাঙ্গাস। এটি সহজে কোনো সংক্রমণ ছড়ায় না। পেঁয়াজের গায়ে এমন কালো আস্তরণ থাকলে অবশ্যই তা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কিন্তু এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে ওই কালো আস্তরণ হল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
তবে এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে তাহলে কি আসলে মিউকরমাইকোসিস? আসলে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি ছত্রাক যা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু এটি যেকোন সাধারণ মানুষকে আক্রান্ত করে না। যাদের শরীরে অনাক্রমতা কম বা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড সেবন করছেন তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এককথায় অনাক্রম্যতা কম থাকলেই এই রোগ হয়। তাই বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের এই রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।