Alapan Bandyopadhyay: দিল্লিতে নির্দিষ্ট সময় হাজিরা দিলেন না আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র
আজ অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০ টায় নর্থ ব্লকে গিয়ে রিপোর্ট করার কথা ছিল মুখ্যসচিবের
বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গ তথা জাতীয় রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ঢাকা নিয়ে। তাকে কেন্দ্রের তরফে আজ অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০ টায় নর্থ ব্লকে গিয়ে রিপোর্ট করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ অনুযায়ী দিল্লি যাননি। আসলে কেন্দ্রের নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই নবান্ন পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তারা এখন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য থেকে ছাড়তে পারবে না। কিন্তু নির্দেশমতো আজ দিল্লিতে না যাওয়ায় আলাপনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এর আগেও এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে দিল্লি না গেলে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন আলাপন। তবে এর মাঝেই অনেকে মনে করছেন যেহেতু রাজ্য সরকার তাকে ছাড়ছে না সেক্ষেত্রে কেন্দ্র হয়তো কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না।
আজ সকালেই মুখ্যসচিবকে ছাড়া হবে না বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি ৫ পাতার চিঠি লিখে পাঠান। সেই চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন্দ্রের একতরফা নীতি বাতিলের অনুরোধ জানান। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ছাড়তে পারবেন না এবং ছাড়বেন না। রাজ্য সরকারের এই করোনা ও যশ ঘূর্ণিঝড়ের পর আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুবই প্রয়োজন। কিছুদিন আগের বর্ধিত মেয়াদের চিঠি অনুযায়ী আরও ৩ মাস মুখ্যসচিব থাকতে পারবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে আগের প্রযোজ্য আইন অনুসারে মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি কার্যকর বৈধ করতে হবে।”
সমস্ত বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল গত শুক্রবার। ঐদিন কেন্দ্র রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশ দেয় যে আজ অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে দিল্লিতে নর্থ ব্লকের কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগে হাজিরা দিতে হবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ অমান্য করেছেন। তবে এখানে একটাই প্রশ্ন উঠছে যে আলাপনের এমন কার্যকলাপে তিনি কি শাস্তির মুখে পড়তে পারেন? তবে নিয়ম অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার ডেপুটেশনে ডাকলেও রাজ্য যদি কোন অফিসারকে না ছাড়ে, তাহলে তিনি দিল্লি গিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন না।