গত বছরের মার্চ মাস থেকে গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। গতবছর গোটা দেশজুড়ে বাধ্য হয়ে লকডাউন ঘোষণা করতে হয়েছিল সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য। সেই সময় বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা। তারই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া তথা জাতীয় মিডিয়াতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বিহারের “সাইকেল গার্ল” ওরফে জ্যোতি। যারা প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়া দুনিয়ায় বিচরণ করেন তারা অবশ্যই সাইকেল গার্লকে খুব ভালোভাবেই চেনেন। গতবছর লকডাউনে জ্যোতি তার বাবাকে সাইকেলে চড়িয়ে গুরগাঁও থেকে বিহার অব্দি ১২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন।
আসলে লকডাউন এর সময় গুরগাঁওতে জ্যোতি এবং তার বাবা যে ভাড়া বাড়িতে থাকতো সেখানে তাদের থাকার সংস্থান বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে বিহারে গ্রামের বাড়িতে ফেরার জন্য কোন ট্রেন বা বাস পায়নি তারা। আর বেশি খরচ করে ফেরার মত তাদের কাছে অর্থসংস্থান ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে জ্যোতি তার অসুস্থ বাবাকে সাইকেলে চড়িয়ে ১২০০ কিলোমিটার পথ মাত্র ৮ দিনে অতিক্রম করে। কিন্তু গত বছরের পর ফের আজ খবরের শিরোনামে আসছেন বিহারের সাইকেল গার্ল। আসলে, জ্যোতির বাবা মোহান পাসোয়ান আজ সকালে হৃদরোগজনিত সমস্যায় মারা গিয়েছেন।
গতবছর জ্যোতির সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল আপামর দেশবাসী। সেই সাথে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বড় বড় নেতা, আমলা ও ব্যবসায়ী। এমনকি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প জ্যোতির সাহসিকতার জন্য প্রশংসা জানায়। এমনকি সাইকেল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া তাকে ট্রায়ালের সুযোগ দিলেও জ্যোতি তা প্রত্যাখ্যান করে পড়াশোনার জন্য।