কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন জুলাই মাসে এবং আগস্ট মাসে নিজ নিজ হোম সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু, পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে আদৌ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া যাবে কিনা সেই নিয়ে চলছে বিস্তর অনিশ্চয়তা। অনেকেই মনে করছেন, এই ভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। তার পাশাপাশি পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করা যায় কিভাবে সেই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
অন্যদিকে, সিবিএসই বোর্ড তাদের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে এবং পাশাপাশি আইএসসি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে বলে খবর। তার সাথেই, খবর পাওয়া যাচ্ছে নাকি বেশ কিছু রাজ্যের বোর্ড তাদের দর্শন এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কিভাবে এবং কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষার মার্কশিট তৈরি হবে সেই নিয়ে চলছে সমস্যা।
৭২ ঘন্টার মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ব্যাক-টু-ব্যাক ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। সেই বৈঠকে এখনো পর্যন্ত কোন সমাধান সূত্র বেরোয়নি কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেই নিয়ে। তবে জুলাইয়ে উচ্চ মাধ্যমিক এবং আগস্টে উচ্চমাধ্যমিক এই নিয়মের পরিবর্তন কিন্তু এখনও পর্যন্ত হয়নি।
অনেকে আবার মনে করছেন অভ্যন্তরীণ নম্বরের ভিত্তিতে এবং প্র্যাকটিক্যাল এর নম্বর এর উপর নির্ভর করে পড়ুয়াদের মূল্যায়ণ করা হতে পারে। অনেকে আবার অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন। এখনো সমস্ত বিষয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। অভ্যন্তরীণ নম্বর সমস্ত স্কুল দিতে পারবে না কারণ অনেক স্কুল করোনা আবহে টেস্ট পরীক্ষা নেয়নি। তার ফলে ছাত্রছাত্রীদের সঠিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সবটা বিশ্লেষণ করার পরেই কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবে রাজ্য সরকারের গঠিত কমিটি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বর্তমানে কারণ এর সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন এবং ভবিষ্যৎ দুটোই জড়িয়ে রয়েছে।














Ty Murray Net Worth Hits $6 Million — The Rodeo King’s Success Story Explained