যুব সভাপতির পদ থেকে সরলেন অভিষেক, হলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের সাংগঠনিক বৈঠকে তৃণমূলের একাধিক পদে বড়ো রদবদল আনলেন
তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে নেওয়া হলো একাধিক নতুন পদক্ষেপ। দলে চালু হলো এক ব্যক্তি এক পদ নীতি। ফলে দলে একাধিক রদবদল করা হলো। আর সমস্ত জল্পনা সত্যি করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, সেই নীতি চালু হওয়ার জন্য তৃণমূলের যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিষেক।
তবে এই পদে হলো একটা বিরাট রদবদল। অভিষেকের জায়গায় আসলেন সায়নী ঘোষ। তৃণমূলে যোগদান করার পরেই সায়নি ঘোষ তৃণমূলের জন্য বেশ ভালোভাবে কাজ করছেন। তাই তাকেই এই পদের দায়িত্ব দিলেন মমতা। আর অভিষেক এবারের নির্বাচনে দলের জন্য বেশ ভালো কাজ করেছেন। এবারের নির্বাচনে মমতার ঠিক পরে প্রচারের অবস্থান ছিল অভিষেকের।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর একসাথে দলের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রত্যেক সভায় গিয়ে অভিষেক বলেছেন ২০০ র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল। পরিসংখ্যানে দেখতে গেলে কিন্তু তাই হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কথা রাখতে পেরেছেন। সবাই যখন দল ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন এবং প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন, তখন অভিষেক প্রশান্ত কিশোরের ওপর ভরসা রেখে ছিলেন। তার সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীও ভরসা রেখেছিলেন অভিষেকের উপরে।
প্রচারে বারংবার কটাক্ষ করলেও, তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে উঠেছেন সেটা শুধুমাত্র তিনি নন বিজেপি নেতারা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। প্রথম দিন থেকেই বিজেপি নেতাদের টার্গেট ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ পর্যন্ত বুয়া ভাতিজা কটাক্ষ করেছেন। তার সঙ্গে বিজেপি নেতাদের মুখে বার বার ছিল তোলাবাজ ভাইপো কটাক্ষ। তাই যে যাই বলুন না কেন অভিষেক যে তৃণমূলে মমতার ঠিক পরের জায়গাতেই আছেন, সেটা এবারের বিধানসভা নির্বাচনে স্পষ্ট। তাই এবারে তৃণমূল নেত্রী অভিষেককে পদোন্নতি দিয়ে নিয়ে এলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে।