একেতো বর্তমানে ভারতে পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম একেবারে আকাশ ছোঁয়া। তার মধ্যেই এবারে চোখ রাঙাতে শুরু করলো সবজি। বাঙালির হেঁশেল এ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ পেঁয়াজের বর্তমান দাম শুনলেই চোখে জল। একদিনে ১০ টাকা দাম বৃদ্ধি হয়েছে পেঁয়াজের। যশ ঘূর্ণিঝড় এবং লকডাউন দুই ধাক্কা একসাথে সামলে উঠতে না পেরে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। এছাড়াও বিভিন্ন বাজারে যেভাবে সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে, সেদিকে খেয়াল করলে বোঝা যাবে খুব কম দিনের মধ্যেই আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে সবজির দাম।
কিন্তু হঠাৎ এরকম কেন বাড়লো পেঁয়াজের দাম? ব্যবসায়ীরা বলছেন, যশ ঘূর্ণিঝড় এবং করোনা বিধি এই দুই কারণে পেঁয়াজের এরকম মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজ খুব একটা বেশি চাষ করা হয় না। তার মধ্যে যশ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যেটুকু পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছিল, সেটা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই অগত্যা নাসিকের উপর ভরসা করে বসে থাকতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ কে। তাই পরিবহনের জন্য দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ।
অন্যদিকে আবার বর্তমানে জ্বালানির দাম মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েছে। ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম ৯০ টাকা অতিক্রম করে গিয়েছেন। এই কারণে বাইরে রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আনতে আরো বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। তাই যে পেয়াজ ২৫ টাকায় কিনতে হতো সেটা কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। শুধুমাত্র পেঁয়াজ নয়, বাকি সমস্ত ধরনের সবজির ক্ষেত্রে একই অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে প্রচুর সবজি চাষ করা হয়। এই সমস্ত জায়গা থেকে গাড়ি করে সবজি আনা হচ্ছে বলে দাম অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। ফলে মধ্যবিত্তকে কম বাজার করেই ক্ষান্ত থাকতে হচ্ছে।
বাজারে বিভিন্ন সবজির বর্তমান দাম –
বেগুন – ৭০ – ৮০ টাকা, আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা।
টমেটো – ৩০ টাকা, আগে ছিল ২০ টাকা।
ভিন্ডি – ৫০-৬০ টাকা, আগে ছিল ৩০ টাকা
পেঁয়াজ – দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে।
ক্যাপসিকাম – ৮০ টাকা কেজি।
ফুলকপি – ২৫-৩০ টাকা পিস।
ধনেপাতা – ২৫০-৩০০ টাকা কিলো
বাঁধাকপি – ৪০ টাকা কেজি।