“আপ তো উনকি ইয়াদ ভি আতি নেহি
কিতনি তানহা হোগায়ি তানহা ইয়া”
তার লেখনীতে তিনি সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। কবিতা ছোট শায়েরী তে ভরা তার সাহিত্যের ঝুলি। তিনি আর কেউ না তিনি হলেন রঘুপতি সহায়। যিনি 28 আগস্ট 1896 সালে জন্মগ্রহণ করেন পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর এ। বাবু গোরাখ প্রসাদের তৃতীয় স্ত্রীয়ের পুত্র সন্তান তিনি। তার পিতা পেশায় উকিল হলেও তিনি শায়রি লিখতেন। পরে রঘুপতি, ফিরাক গরাখপুরি নামে লিখতেন। তিনি মাস্টার ডিগ্রি করেছিলেন উর্দু এবং পার্শিয়ান এবং অন্যান্য ইংরেজি সাহিত্যের উপর। তিনি একজন বিখ্যাত লেখক, সমালোচক ছিলেন। অন্যান্য সমসাময়িক উর্দু কবি যেমন আল্লামা ইকবাল, ফেইস আহ মেদ ফেইস, কাইফি আজমি, সাহির লুধিয়ানভি এদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম সারির লেখক। ছোটবেলা থেকেই রাতের অন্ধকার তারার ঝিলমিল, গাছপালা শব্দ তাকে আকর্ষণ করত। গরাখপুর যুবিলী হাই স্কুল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পাস করেন।
তারপর 1913 সালে হাই স্কুলের পড়া শেষ করে এলাহাবাদে আসেন। এলাহাবাদে এসে তিনি মেয়র সেন্ট্রাল কলেজে ভর্তি হন। কলেজে পড়ার সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় মেহেদী হোসেন নাসির এর। 1914 সালে তিনি সকলের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। কিন্তু এর মধ্যে তার মনের মধ্যে দেশপ্রেম জেগে উঠেছিল। 1920 খ্রিস্টাব্দে তিনি কংগ্রেসের দলে যোগদান করেন। এবং ভারতীয় জেলে ও যান। জেল থেকে বেরোনোর পরে জহরলাল নেহেরু তাকে অখিল ভারতীয় দপ্তর সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত করেন। এরপরে তিনি ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি করেন, তারপরে তিনি ইংরেজি ইংরেজি শিক্ষার অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। উর্দু, ইংরেজি এবং হিন্দি এই তিনটি ভাষায় তার সমপরিমাণ দক্ষতা ছিল। তারিখটি বিশ্ব বিখ্যাত লেখনি হল গুল ই নাঘমা,এছাড়া রুবাই, সর্গাম। 1968 সালে তিনি পদ্মভূষণ পান, 1969 সালে তিনি জ্ঞানপীঠ অ্যাওয়ার্ড পান, 1970 সালে তিনি সাহিত্য একাডেমি ফেলোশিপ পান 1981 সালে তিনি গালিব একাডেমি অ্যাওয়ার্ড পান ।তিনি প্রায় এক ডজন উর্দু কবিতা লিখেছিলেন। তার সাথে সাথে হিন্দি এবং ইংলিশ এর উপরে ও তিনি বই লিখেন। 2015 সালে তার মানে তার ভাইপো অজয় মান সিং তার একটি আত্মজীবনী লেখেন যার নাম “Firaq gorakhpuri the poet of pain and ecstasy”. 1982 সালের 3রা মার্চ তিনি মারা যান।
Written By – শ্রেয়া চ্যাটার্জি