অনেকেই জানাচ্ছেন করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে শিশুদের। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে মানুষের মুখে মুখে চাউর হয়ে গেছে এই ব্যাপারটি। প্রথম ওয়েভের তুলনায় দ্বিতীয় ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাটা একটু বেশি থাকার কারণে অনেকেই মনে করেছেন তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। কিন্তু তেমনটা একেবারেই নয়।
নীতি আয়োগ এর সদস্য ভিকে পাল আজ জানালেন, এরকম কোনো ভিত্তি নেই এই তথ্যের উপর। তিনি নিজে আবার নরেন্দ্র মোদির তৈরি করা করোনা ব্যবস্থাপনা দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত। তিনি নিজে জানাচ্ছেন, এখনো পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে কোনোরকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা প্রবল, কিন্তু তাতে যে শুধুমাত্র শিশুরা আক্রান্ত হবেন এরকম কোন ব্যাপার নেই। তাই অভিভাবকদের এখনই চিন্তা করার কোনো কারণ হচ্ছে না।
অনেকেই মনে করছেন সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর করোনা। এই পরিস্থিতি তৈরি করা সম্পূর্ণরূপে অর্থহীন এবং এতে কোনো লাভ হবে না বলে জানিয়েছেন ডাক্তার পাল। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলছেন, “হয়তো শিশুরা আক্রান্ত হবে করোনায় কিন্তু এরকম নয় যে শুধুমাত্র শিশুরা আক্রান্ত হবে। যেরকম ভাবে এতদিন বড়রা আক্রান্ত হয়ে এসেছেন তারাও আক্রান্ত হবেন পাশাপাশি শিশুরাও আক্রান্ত হবে। সেই কারণে শিশুদের আক্রান্ত ব্যক্তির সামনে নিয়ে আসবেন না এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।”
ডাক্তার পাল আরও বলেছেন, ‘যদি অভিভাবকরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন তাহলে করোনাভাইরাস এর ছড়িয়ে পড়া আরো কমবে। তাহলে শিশুদের কাছাকাছি ভাইরাস পৌঁছাতে পারবে না।” অন্যদিকে, এইমস হাসপাতাল এর ডিরেক্টর ডাক্তার রন্দীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, সঠিক কোনো তথ্য নেই, যা দিয়ে প্রমাণ করা যেতে পারে শুধুমাত্র শিশুরা তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হবে। ইতিমধ্যে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে এবং সকলের ভ্যাক্সিনেশন এর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।