অরূপ মাহাত: ভারত ও ভারতের বাইরে থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও বিভিন্ন শাস্ত্রে গণেশের বিভিন্ন রূপের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই সমস্ত ভিন্ন রূপের মূর্তির পূজা ও ধ্যানের বিধি ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন, গুপ্তযুগে পাওয়া কয়েকটি গণেশমূর্তি অষ্টভূজ থেকে দশভূজ। আবার তন্ত্রগ্রন্থ তন্ত্রসার এবং কাশ্মীর, নেপাল ও আফগানিস্তানে কোনও কোনও ক্ষেত্রে গণেশের বাহন হিসেবে সিংহের উল্লেখ রয়েছে। এদিকে প্রসন্ন গণেশ সাধারণ রূপে বিরাজমান হলেও প্রাণতোষিনী তন্ত্রে উল্লিখিত চৌরগণেশ সাধনার ফল চুরি করেন, বিঘ্নগণেশ বিঘ্ন ঘটান এবং লক্ষ্মীগণেশ লক্ষ্মীকে আলিঙ্গন করে থাকেন। গণেশের ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি রূপ আলোচনা করা হল।
১. মহাগণপতি – মহাগণপতি গণেশের একটি তান্ত্রিক রূপ। এই মূর্তি শক্তিগণপতি বা বীরগণপতির মতো আদিরসাশ্রিত।
২. হেরম্ব-গণপতি – হেরম্ব-গণপতি তন্ত্রসারে উল্লেখিত। তিনি পঞ্চানন। মধ্যের মাথাটি আকাশের দিকে ঊর্ধ্বমুখ। হেরম্ব শব্দের অর্থ দীন পালক। এর বাহন সিংহ। যদিও নেপালে হেরম্ব-গণপতির বাহন ইঁদুরই।
৩. নৃত্যগণেশ – নৃত্যগণেশ আটহাতে নৃত্যরত। তাঁর হাতে অস্ত্র নেই। তিনি নাচের মুদ্রা দেখাচ্ছেন।
৪. বিনায়ক গণেশ – বিনায়ক গণেশের উল্লেখ আছে অগ্নিপুরাণ গ্রন্থে। এই গণেশের পাঁচটি বিশিষ্ট রূপ – চিন্তামণি বিনায়ক, কপর্দী বিনায়ক, আশা বিনায়ক, গজবিনায়ক ও সিদ্ধিবিনায়ক। যদিও যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি অনুসারে বিনায়ক একজনই, এবং তিনি অম্বিকাপুত্র।
৫.বৌদ্ধ গণেশ – বৌদ্ধ গণেশের উল্লেখ মেলে বৌদ্ধ সাধনমালাতে। তিনি দ্বাদশভূজ।