শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক? এই নিয়ে দ্বন্দ্ব ক্রমাগত চলছেই। তারপর আবার এই রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা বৃদ্ধির পরে এই দাবি আরো জোরালো হতে শুরু করেছে। বিগত ১৯৫৩ সালের ২৩ শে জুন জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ হেফাজতে মারা গিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। প্রথমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলা হলেও ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে শ্যামা প্রসাদের মৃত্যু রহস্য এখনো রহস্যই থেকে গেছে।
২০০৪ সালে, অটল বিহারী বাজপাই দাবি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ষড়যন্ত্রের ফলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছে। তারপরে বেশ অনেক বছর হয়ে গেছে শ্যামাপ্রসাদ এর মৃত্যুর রহস্য নিয়ে তেমন কোনো তদন্ত করা হয়নি। অটল বিহারী বাজপাই পর্যন্ত শুধুমাত্র দাবিটুকু করেছিলেন কিন্তু তিনি যখন তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি কোনো রকম তদন্তের দাবি জানান নি। এরপর ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৪ সালে ফের ক্ষমতায় আসে।
নরেন্দ্র মোদি সরকার যখন প্রতিষ্ঠিত হয় কার আমলে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি এই মামলার। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মনে করা হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে। কিন্তু তার মৃত্যু নিয়ে বিজেপির তেমন কোনো হেলদোল নেই, এই প্রেক্ষিতে আইনজীবী স্মরজিত রায়চৌধুরী নিজে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন আগের অটলবিহারী জমানায় চলতি মোদী জমানায় এই মামলার কোনো তদন্ত হয়নি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু রহস্য জানতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিশন। তার দাবি, ” আমি চাই এই রহস্যের অবসান হোক এবং প্রকৃত সত্য সামনে আসুক।” এবার এইটাই দেখার বিজেপি হাইকমান্ড এই জনস্বার্থ মামলা নিয়ে কিরকম ভাবে এগোন।