করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের কারনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন এবারে দশম শ্রেণীর পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না বরং নবম শ্রেণীর নম্বর ব্যবহার করে এ বছরের দশম শ্রেণীর মার্কশিট তৈরি করা হবে। এই মর্মে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সমস্ত স্কুলকে তাদের ওয়েবসাইটে নম্বর জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। সেই মত বহু স্কুল নিজেদের পড়ুয়াদের নম্বর জমা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক স্কুল রয়েছে যারা নিজেদের সম্পূর্ণ পড়ুয়াদের নম্বর জমা দিতে পারেনি। অনেক স্কুলে তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাদের আরো বেশি সময় লাগবে নম্বর জমা দিতে।
কিন্তু এই সমস্ত সমস্যা বাদ দিলেও, আরো একটি সমস্যা রয়েছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায়। আর সেটা হচ্ছে ভুয়া পরীক্ষার্থী সমস্যা। জানা যাচ্ছে বেশ কিছু স্কুল এমন রয়েছে যেখানে প্রধান শিক্ষককে আটক করে দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা তাকে হুমকি দিচ্ছেন যেন তিনি তাদের নম্বর বাড়িয়ে দেন। শুধু তাই নয়, পর্ষদ জানিয়েছে, অনেক স্কুলে দেখা গিয়েছে, সর্ব মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা থেকে বেশি সংখ্যক নম্বর জমা পড়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় বিষয়ভিত্তিক নম্বরে গরমিল রয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে আবার মাধ্যমিক এর ফরম ফিলাপ না করে অনেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় উতরে যেতে চাইছেন বলে জানাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে পর্ষদের তরফে গ্রহণ করা হচ্ছে বড় পদক্ষেপ।
আগেই পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যদি নম্বরে গরমিল থাকে, তাহলে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিয়ে নানা জায়গায় শুরু হয়েছে সমস্যা। প্রত্যেকটি স্কুলকে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির নম্বর পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বহু ক্ষেত্রেই স্কুলে পাঠানো নম্বরে অসঙ্গতি মিলেছে। এখনো পর্যন্ত পর্ষদ সূত্রের খবর, শতাধিক স্কুল এমন রয়েছে যেখানে নম্বরে গরমিল রয়েছে। এই কারণে পর্ষদের সূত্রে জানানো হচ্ছে সেই সমস্ত স্কুলের নম্বর রেজিস্টার চেয়ে পাঠানো হবে পর্ষদের দফতরে।আর যদি কোনভাবে গরমিল প্রমাণ করা সম্ভব হয় তাহলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
২১ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে সকলের নম্বর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ২৪,০০০ এমন পরীক্ষার্থী আছেন যাদের নম্বর জমা পড়েনি। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ নম্বর আপলোড হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নাম্বার আপলোড করতে বিশাল বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নম্বর জমা দেওয়ার তারিখ বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বহু পরীক্ষার্থী নম্বর জমা দেওয়া বাকি। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বর্তমানে চিন্তায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও, অনেক স্কুল তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে এবং তারা পুনরায় নম্বর পাঠানোর জন্য রাজি।