ভাইরাল & ভিডিও

আইফোনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার গেম কিনল ছেলে, টাকা শোধ করতে গাড়ি বিক্রি করতে হল বাবাকে

আইফোনে বিভিন্ন ধরনের গেম এবং অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে এত টাকা খরচ করে ফেলে ছেলেটি

Advertisement

বাবার আইফোন নিয়ে একের পর এক গেম খেলে চলেছে ছেলে। কিন্তু, এই গেম যে বাবার এত বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে যাবে সেটা হয়তো ছোট্ট বছর সাতেকের ছেলেটি ভাবতে পারেনি। তার গেম খেলার নেশার জন্য তার বাবাকে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার বিল মেটাতে হলো, যার কারণে বিক্রি করতে হলো তাকে নিজের সাধের গাড়ি টাও। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের উত্তর ওয়েলসে। সেখানে বসবাস করেন মোহাম্মদ মুতাজা এবং তার ছেলে আশাজ। আশাজের গেম খেলার নেশার জন্যই আজ মোহাম্মদ মুতাজার এই অবস্থা।

বছর সাতেকের ছেলে আশাজ তার বাবার আইফোনে একটি গেম খেলতে শুরু করেছিল। ওই গেমটি ছিল রাইজ অফ ডার্ক। এই গেমটি বেশ ঘন্টাখানেক ধরে ভালোভাবেই খেলতে পারল আসাজ। কিন্তু তারপরে তাকে বলা হল বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন কিনতে, না হলে সে এই গেম আর খেলতে পারবে না। তারপরে শুরু হলো টাকা দিয়ে অ্যাপ কেনার পালা।

কয়েকটি অ্যাপ এর দাম ২৪০ টাকা, ৪০০ টাকা, ইত্যাদি। এই সমস্ত অ্যাপ কিনে গেমটি কিছুক্ষণের জন্য খেলা যাচ্ছিল। কিন্তু তার পরেই ওই ছেলেটি সিদ্ধান্ত নেয় এই গেমের লাইফটাইম সাবস্ক্রিপশন গ্রহণ করবে, যার দাম ৯৯.৯৯ পাউন্ড, ভারতীয় মুদ্রায় ১০,০০০ টাকার বেশি। এরকম বেশ কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন এবং সাবস্ক্রিপশন গ্রহণ করে ফেলেছিল ছোট্ট আশাজ। বাবার চোখে যখন বিষয়টি ধরা পড়ে তখন তার একেবারে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায়। ততক্ষণে সেই টাকার বিল গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকায়।

তার বাবা প্রথমে ভাবেন যে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে কিন্তু পরবর্তীকালে একটি সম্পূর্ণ মেল চলে আসে তার খরচের হিসাব এর। তারপর এই ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়। কিন্তু টাকা তো মেটাতেই হবে, তাই অগত্যা নিজে টয়োটা গাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হন মোহাম্মদ মোতাজা। যদিও অ্যাপেল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ তার ২১,০০০ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। যদিও এই ধরনের লেনদেন সম্পূর্ণরূপে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত, এবং এই পাসওয়ার্ড সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত রাখে আইটিউন। হয়তো ওই ছেলেটি পাসওয়ার্ড জেনে গেছিলো, এই কারণেই সে এত টাকা দিয়ে গেম খেলতে পেরেছে। কিন্তু বাচ্চাদের গেমের এত দাম কেন? এ বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন মোহাম্মদ মোতাজা।

Related Articles

Back to top button