কাঁটাতার কি মনের দুরত্বে ছাপ ফেলতে পারে কোনোভাবে? না পারেনা। যতই লকডাউনে আলাদা থাকতে হোক মনের টানে এক হয়েছে এই পরিবার। রক্তের টান নাই থাক ভালোবাসার টান তো আছে। হ্যাঁ সৃজিত আর আইরার কথা বলছি। আইরার নিজের বাবা সৃজিত নাই হোক কিন্তু নিজের বাবার থেকে একটু ভালোবাসে এই একরত্তি। তাই কাঁটাতার পেরিয়ে সৃজিতের কাছে ফিরলেন মিথিলা নিজে ও তাঁর কন্যা আইরা। দীর্ঘ ১০০ দিন পর দেখা হল সৃজিলার আর আইরার।
করোনা মহামারুর জেরে এখন বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। লকডাউনের আগেও কর্মসূত্রে নিজের দেশে গিয়েছিলেন মিথিলা। সেখানেই আইরাকে নিয়ে আটকে পড়েছিলেন মিথিলা। অবশেষে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আজ স্বামীর কাছে ফিরে এলেন মিথিলা কন্যা আইরা।এদিন পেট্রোপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে আসেন মিথিলা ও আইরা। সৃজিতের দেখা পেয়েই আনন্দে আত্মহারা মিথিলা-তাহসানের একমাত্র ছোট কন্যা আইরা। তখন আর তাঁকে ধরে রাখে কে।
সিনেমার মতো বাবার কাছে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।সৃজিতকে কাছে পেয়েই এক লাফ দিয়ে বাবার কোলে উঠে পড়ে আইরা। এটাই সৃজিতের কাছে প্রাপ্তি। বাবা মেয়ের সম্পর্কটা ভীষণ মিষ্টি আর বন্ধুত্ব পূর্ণ। কাছাকাছি থাকলে সারাক্ষণ দুষ্টুমি আর খুনসুটি চলে দুজনের। ১০০ দিনের গল্প তো কম নয় যতই ভিডিও কলে কথা হোক সামনাসামনি জমিয়ে গল্প করার মজাই আলাদা তাই তো পেট্রোপোল সীমান্তেই ট্রলির ওপর বসেই বাবা মেয়ের গল্পগাছা শুরু হয়ে যায়। আর সেই ছবি লেন্সবন্দী করলেন মিথিলা নিজে।
এই মিষ্টি মুহূর্ত গুলি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ১০০ দিনের একাকীত্ব শেষে। স্ত্রী আর কন্যাকে নিয়ে কলকাতায় ফেরার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সৃজিতও। গাড়িতে বসে তিনজনের মিষ্টি সেলফি শেয়ার করলেন। এদিন একদম ক্যাজুয়াল পোশাকেই ধরা দিল মা-মেয়ে। সাদা কুর্তা আর ডেনিমে পাওয়া গেল মিথিলাকে, অন্যদিকে আইরা পরে ছিল ব্লু ডেনিম ও ছাই রঙা টি-শার্ট। বাবা-মায়ের মাঝখানে বসে রয়েছে একরত্তি আইরা। এই ছবির ক্যাপশনে সৃজিত লিখেছেন, ‘দ্য মিথিলা রাজ বায়োপিক। এই ক্যপশান দেখে আপনার মনে হতে পারে কেন এমন ক্যাপশন দিলেন স্বামী৷ আসলে তিনি এখন মিতালি রাজের বায়োপিক ‘সাবাস মিঠু’-র পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত। সেই কাজের মধ্যেই স্ত্রীর সঙ্গে এই ছবি পোস্ট করে ‘দ্য মিথিলা রাজ বায়োপিক’ এর নাম উল্লেখ করেছেন। তিনজনকে একসাথে আবার দেখে অনুগামীরাও ভালোবাসা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে এই পোস্ট।