মল্লিক বাড়ির দুর্গা পুজো আর মল্লিল বাড়ির ছোট কন্যা দুজনেই খুব জনপ্রিয়। হ্যাঁ কোয়েল মল্লিকের কথা বলছি। আজও ভবানীপুর চত্বরে গেলে মল্লিক বাড়ি আর তাঁর বাড়ির মেয়েকে একবার দেখা চাই চাই। সকলের কাছে এক আলাদা আকর্ষণ বললে কম কিছু নয়। কোয়েল টলিউডের প্রথম সারি অভিনেত্রী হওয়ার আগে এই ঐতিহ্যবাহী মল্লিক বাড়ির ছোট আর আদুরে মেয়ে৷ ছোট থেকেই পরিবারের সকল আত্মীয়দের মধ্যে বেড়ে ওঠা। ছোট থেকে বাড়ির পুজোয় আনন্দ করার পাশাপাশি পুজোর কটা দিন নানা অছিলায় বাইরে ঘুরতে বেরোনো, খাওয়া, মজা সবটাই নিজের ভাই বোনের সাথে চেটেপুটে উপভোগ করেছেন কোয়েল।
কোয়েল এবার নিজের ছোটবেলার কিছু মধুর স্মৃতি শেয়ার করলেন অভিনেত্রী৷ শুধু নিজের বাড়ির পুজো নয় পাড়ার পুজোর ও স্মৃতিচারণায় মজলেন কোয়েল। কোয়েল বলেন, “তাঁদের বাড়ির সামনে নর্দান পার্ক। বাড়ির পুজোর সাড়া হলেই সকল ভাইবোনেরা মিলে ফুচকা খেতে যেতেন, নাগরদোলা চড়তেন, অঞ্জলি দিতেন আরতির পর দারুণ মজা করতেন। তিনি বাড়ির সবার থেকে ছোট ছিলেন বলে তাই তাঁকে দুধেভাতে ট্রিট করা হত।”
একবার নাকি কোয়েলকে না নিয়েই অন্য দাদা, দিদিরা পাড়ার পুজো দেখতে চলে গিয়েছিলেন। আর সেই দেখে মেয়ে বাড়ি জুড়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। তাই মেয়ের কান্না থামাতে মেজজেঠুর নিয়ে যায় পাড়ার ফুচকার দোকানে। সেখানে গিয়ে নাকি ৫০টা ফুচকা খেয়েছিলেন সে দিনের ছোট্ট কোয়েল। আর সেই স্বীকারোক্তি নিজেই করলেন। এর সাথে অভিনেত্রী সংযোজন করেছেন কেউ বিশ্বাস করবে না। তবুও বলছি। তবে তা এখন ইতিহাস, বর্তমানে কোয়েল একাধারে গৃহিনী, আবার টলিউড সেলেবও বটে। তবে কোয়েলের এই গুন শুনে অনেকে প্রশংসা করেছেন। পুজোর তিন মাস আগেই কোয়েল ছোট বেলার স্মৃতিচারণা নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, অন্যবারের মতো গত বছরের মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো কিছুটা অন্য রকম ছিল। করোনা আতঙ্কের কারণেই মল্লিক বাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি সাংবাদিকরা পৌছাতে পারেনি। এবছর উমার আগমনে এখনও মাস তিনেক বাকি। এ বছর মার্চ মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। পুজোর মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। মাস্ক পরা, হাত স্যানিটাইজ করা বা সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার মতো করোনা স্বাস্থ্যবিধি সব স্তরে মেনে চলার আর্জি জানানো হচ্ছে। ফলে চলতি বছরের পুজোও কতটা স্বাভাবিক থাকবে, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সব মহলে তাও কিছু জায়গায় খুঁটি পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে।