মাইকেল জ্যাকসনের ৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে রইলো কিছু অজানা তথ্য
কালো অন্ধকার স্টেজের বাইরেটা। লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ হাতে মোমবাতি নিয়ে গানের তালে তালে মোমবাতি দুলিয়ে একটা যেন মায়াবী পরিবেশ তৈরি করছে। গান শুনে কখনো কখনো তারা কান্নায় ভেঙে পড়ছে, তাদের প্রিয় মানুষটাকে দেখার জন্য তারা ছুটে এসেছে দূর-দূরান্ত থেকে। কখনো আবার আবেগের বশবর্তী হয়ে উঠে পড়ছেন স্টেজের উপরেই। কখন সেই প্রিয় মানুষটিকে একবার ছুঁয়ে দেখবেন বলে উঠে পড়ছেন স্টেজের উপরে। এই মানুষটি আর কেউ নয়, মাইকেল জ্যাকসন। তার আসল নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন 1958 সালের 29 আগস্ট। জ্যাকসন পরিবারের অষ্টম সন্তান মাইকেল। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে 1963 সালে পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তখন জ্যাকসন ফাইভ নামের গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে গান গাইতেন।
তার পাঁচটি অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে অফ দ্য ওয়াল (1979), থ্রিলার (1982),ব্যাড ( 1987), ডেঞ্জারাস (1991) এবং হিস্ট্রি (1995)। তিনি পপ রক সউল মিউজিক সকল প্রকার মিউজিকের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। সঙ্গীত শিল্পী গীতিকার সংগীত প্রযোজক-অভিনেতা, মডেল, নৃত্যশিল্পী, ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। তিনি দুবার rock-n-roll অফ ফ্রেম নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি গান, লেখা, নাচের আরএনবি হল অফ ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী 13 টি গ্র্যামি পুরস্কার 13 টি 1 নম্বর একক সঙ্গীত এবং 35 কোটিরও বেশি মাইকেলের অ্যালবাম বিক্রি হয়। থ্রিলার আজ পর্যন্ত 110 মিলিয়ন এর উপর বিক্রি হয়েছে যা সর্বোচ্চ বিক্রিত হওয়া অ্যালবাম।
এছাড়াও গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তাকে বিশ্বরেকর্ডে ভূষিত করেছে বিনোদন জগতের মানুষ হিসেবে সবচেয়ে বেশি দান-খয়রাত করার জন্য এবং তার দানকৃত অর্থের পরিমাণ 500 মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। সারাবিশ্বের মানুষ তাকে মনের মণিকোঠায় রেখে দিয়েছিল। তার মতো তারকা বর্তমান বিশ্বে নেই বললেই চলে।
2009 খ্রীষ্টাব্দের 25 শে জুন মাইকেল জ্যাকসন মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে সারা পৃথিবীতে আলোড়ন পড়ে যায়। টিএমজেড যখন ওদের ওয়েবসাইটে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তারপর তার সব জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যুর ফলে পৃথিবীর ইন্টারনেট ব্যবস্থা একপ্রকার ভেঙ্গে পড়ে। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পৃথিবীর সকল অঞ্চল থেকে তার ভক্ত ও সাধারন মানুষ গুগলে সার্চ করে। মাইকেলজাকসন শব্দটি এত বেশি হওয়ার কারণে তারা ভেবে বসে যে তাদের সার্চ ইঞ্জিন আক্রান্ত হয়েছে যার ফলে তারা প্রায় 30 মিনিট গুগোল বন্ধ রেখেছিল। উইকিপিডিয়াতে এক ঘণ্টার মধ্যে 12 লাখের বেশি মানুষ মাইকেলের বায়োগ্রাফি দেখে। আর এই চাপ উইকিপিডিয়া লোড নিতে সক্ষম না হওয়াতে ক্রাশ করে। তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান পৃথিবীর 300 কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি টেলিভিশনও অনলাইনে দেখেন। যা এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ কারোর কৃত্যানুষ্ঠান দেখা হয়েছে।
Written By – শ্রেয়া চ্যাটার্জি