লকডাউন এর পরবর্তী সময়ে বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বারংবার সংঘাতে গিয়েছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন এবং রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনই, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে না, সেই নিয়ে শনিবার আরো এক প্রস্থ বিবৃতি রাখলেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখনই ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের ওপর বর্তমানে আর্থিক বোঝা চাপানো যাবে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।
পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বেসরকারি বাস একাধিক জায়গায় বেশি ভাড়া নিচ্ছে, তাই পকেটের চাপ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। অন্যদিকে, বাস মালিক সংগঠন দাবি করেছে, রাজ্য সরকারের বাসের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। তার পাশাপাশি বাস মালিকদের সহজ ঋণ দেওয়া উচিত ২ লক্ষ টাকা করে। আবার জয়েন কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভাড়া যদি না বাড়ে তাহলে বাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সংগঠনে অনেকে মনে করছেন, কয়েক মাসের জন্য রোড ট্যাক্স মওকুফ করা কিন্তু যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন আছে এখানে ভাড়া বৃদ্ধি করার।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। তার মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন হওয়ায় সবাই পরিস্থিতি অত্যন্ত দুর্বিষহ। এই পরিস্থিতিতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এই কারণে সবজি মাছ এবং মাংসের দাম বৃদ্ধি হয়ে গিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। এরকম অবস্থায় যদি সাধারণ মানুষের উপরে আবার বাসের ভাড়া বৃদ্ধির চাপ দেওয়া হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হবে বলে মনে করছেন ফিরহাদ হাকিম। পরিবহনমন্ত্রীর চাপে সুর নরম করলেও এখনো পর্যন্ত জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের তরফ থেকে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানানো হচ্ছে।
ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষের হাতে টাকা-পয়সা একদম নেই। এখন ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে হবে বাস মালিকদের। এটা ঠিক যে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি বাস মালিকদের সমস্যায় ফেলেছে। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এখনই বাস ভাড়া বৃদ্ধি করবে না রাজ্য সরকার।”