খালি গলায় অসাধারন গান গেয়ে তাক লাগাল বাঙালি গৃহবধূ, গান শুনে মুগ্ধ নেহা কক্কর! ভাইরাল ভিডিও
নেহা কক্কর বলিউডে এখন জনপ্রিয় গায়িকাদের মধ্যে একজন। বলিউডে ননস্টপ একের পর এক হিট হিন্দি মিউজিক অ্যালবামে গান গাইছেন। নেহা কক্করকে কেউ আবার বলে ওঠে রিমেক কুইন। নেহার গান মানেই এখন বলিউডের পুরোনো হিট গান রিমেক করা ৷ বিশেষ করে রিমেক সিঙ্গেলে বরাবরই শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন এই মেয়ে। একদিন নেহা গানের জগতে প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল। নেহার বাবা নেহা ও আরো দুই ভাই বোনকে খুব কষ্ট করে মানুষ করেছেন। নিজের স্ট্রাগেলের সময় নেহাকে ভোজনগীতি ও গাইতে হয়েছে। এই শিল্পী নেটিজেনদের হাত ধরেই একদিন গানের সফরে এসেছিলেন। তাই তিনি আপকামিং গায়ক গায়িকাদের স্ট্রাগেল বুঝতে পারেন। নেহার মন সত্যি কুইনের মতো দয়ালু বললে কিছু কম নয়।
সম্প্রতি নেহা বাংলার গৃহবধূর খোলা গলায় গাওয়া গানে মজলেন। তাঁর কন্ঠে নিজের গান শুনে আবেগ প্রবণ হয়ে উঠলেন নেহা। সম্প্রতি ইউটিউবে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতেদেখা যাচ্ছে, নেহা বলছেন, জনপ্রিয় হিন্দি গান ‘মিলে হো তুম হামকো’ গানটি তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। কারণ এটি তাঁর ভাই টনির লেখা। এবার তাঁরই নিজের গাওয়া প্রিয় গানটি অন্য এক অনামী শিল্পীর কন্ঠে শুনে মুগ্ধ হলেন নেহা।
এই অনামী শিল্পী হলেন চাকদহের বাসিন্দা বিপাশা দাস। স্বামী সন্তানকে নিয়ে টিনের চালে অভাবের সংসার। বিপাশার একটি চায়ের দোকান হল গোটা পরিবারের সম্বল। মাটির উনুনে চা বানানোর সাথে রেডিয়োতে গান শোনেন। আর এই গান শুনেই গুনগুন করেন বিপাশা। হাজার আর্থিক অভাবের মধ্যেও এই গান বাজনা হল বিপাশার একমুঠো আনন্দ।
বর্তমানে এই লকডাউনে আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই চাকদহের বিপাশাকে অনেকেই চেনেন।
কোনদিনই গান শেখেন নি বিপাশা দাস। কিন্তু গান শুনে অসাধারণ গান গান গান এই অনামী শিল্পী। ঈশ্বরপ্রদত্ত কন্ঠসুর যেন তাঁর। নিজের এই প্রতিভাকে অন্তরালে না রেখে আনন্দের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের কন্ঠসুর প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিপাশা। লতাকন্ঠী সুরে গাওয়া গান দিয়ে জয় করে নিয়েছিন সকলের মন। তার সুর জয় করে নিয়েছে শুধু বাংলার মানুষকে নয় অন্যানদের ও।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বিপাশা দেবী নেহার জনপ্রিয় গান ‘মিলে হো তুম হামকো’ খোলা গলায় সাবলীল ভাবে গাইছেন এই গান বেশ হিট হয়। এমনকি নেহার চোখ ও এড়ায়নি। তাঁর অপরূপ সুন্দর গানের সুর মাতিয়ে দিয়েছে নেহা কাক্কার সহ প্রত্যেকটি মানুষের মনকে। নেহাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাহলে কি নেহার হাত ধরেই বিপাশা দেবী একটি সুযোগ পাবে। এখন এটাই দেখার।