আইপিএস অফিসারদের পক্ষে বলিউড সিনেমায় কাজ করা বেশ চাপের বিষয় কিন্তু আইপিএস অফিসার সীমালা প্রসাদ দীর্ঘদিন ধরে আইপিএস অফিসারের ডিউটি এবং বলিউডকে খুব ভালো ভাবে সামলে আসছেন। প্রথম থেকেই নাচ এবং গানের প্রতি আকর্ষণ ছিল তার। বিভিন্ন ডান্স কম্পিটিশন এবং অভিনয় কম্পিটিশনে একাধিকবার অংশগ্রহণ করেছিলেন সীমালা। নিজের স্কুল এবং কলেজের দিনে বেশকিছু নাটকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এর দৌলতেই তার অভিনয়ের প্রতি আরো বেশি ক্রেজ তৈরি হয়।
৮ অক্টোবর ১৯৮০ সালে ভোপালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তারপর ভোপালেই স্কুলিং এবং সম্পূর্ণ শিক্ষার শেষ করেন। ভোপালের সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে স্কুল শেষ করে স্টুডেন্ট ফর এক্সেলেন্স থেকে বি.কম ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। তারপরে বক্রতুল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। পড়াশোনায় প্রথম থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। প্রতিটি পরীক্ষায় তার দুর্দান্ত ফল এই বিষয়টি প্রমাণ করে। স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় তিনি গোল্ড মেডেল অর্জন করেছিলেন তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
সবথেকে বড় বিষয় হলো, ভারতের সবথেকে কঠিন পরীক্ষা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্রথম প্রচেষ্টায় সফল হয়েছিলেন। এই পরীক্ষাটি বহু পড়ুয়া দিয়ে থাকে কিন্তু এই পরীক্ষা পাস করা খুব কঠিন। কিন্তু, সীমালা প্রসাদের পক্ষে এই পরীক্ষা পাস করা খুব সহজ কাজ ছিল। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা পাস করে সীমালা প্রথমে ডিএসপি হিসেবে যোগদান করেন।
যদিও, জীবনে তিনি কখনোই সিভিল সার্ভিসের চাকরি করবেন এই বিষয়টি ভাবেননি। পরিস্থিতির চাপে এবং মূলত বাড়ির কথাতেই তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসে ছিলেন। তার বাড়ির পরিস্থিতি তাকে সিভিল সার্ভিসের চাকরি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল। তবে তিনি যে শুধুমাত্র একজন আইপিএস অফিসার তা কিন্তু নয়। তিনি একজন বলিউড অভিনেত্রীও বটে। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তাকে দেখে পরিচালক জায়গাম ইমাম তাকে একটি সিনেমা অফার করেন। ইমামের ছবি আলিফ – এ একটি রোল তাকে অফার করা হয়। গত ২০১৭ ফেব্রুয়ারি মাসে এই সিনেমাটি মুক্তি পায়। শুধু ওই একটি ছবি না ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নাকশ ছবিতেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি নিজেও বেশকিছু ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন তিনি এভাবেই বলিউড এবং আইপিএস এর কাজ একসাথেই চালিয়ে যেতে চান।