ভারতীয় জনতা পার্টি বারংবার অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমবঙ্গে নাকি করোনাভাইরাসের টিকাকরণ হচ্ছেনা সুষ্ঠুভাবে। তাদের মূল অভিযোগ, এই রাজ্যে করোনা ভাইরাসের টিকা করন নিয়ে অনেক জালিয়াতি এবং দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগ কি আদৌ সঠিক নাকি এটা শুধুমাত্র বিজেপির জুমলা? এই ঘটনার ই তদন্ত করতে আজকে রাস্তায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছুটে গেলেন একের পর এক করোনাভাইরাস টিকা কেন্দ্রে। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসা মাত্রই আমি প্রথমে হাসপাতাল ভিজিট করেছিলেন সেখানে করোনা চিকিৎসা কিরকম হচ্ছে তা জানার জন্য।
এবারে তিনি টিকাকেন্দ্রে চলে যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসের টিকা করন খতিয়ে দেখার জন্য। এছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় করোনাভাইরাস যদি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একের পর এক জায়গা ভিজিট দেওয়া শুরু করলেন তিনি। আজ নবান্নে যাওয়ার আগে এই কারণে একটি পুরসভার করোনাভাইরাস টিকাকেন্দ্রে ঢু মারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খতিয়ে দেখলেন সেখানকার করোনাভাইরাস টিকা করন পদ্ধতি।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালীঘাট করোনা টিকাকরন কেন্দ্রে গিয়ে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একটা লম্বা লাইন পড়েছিল করোনাভাইরাস টিকা গ্রহীতাদের। তাদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্ত সুবিধা অসুবিধার ব্যাপারে জানলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেনে নিলেন এই টিকাকরণ কেন্দ্রে সমস্ত কিছু ঠিক ঠাক ভাবে কাজ করছে কিনা সেই নিয়ে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি বারংবার একাধিক জায়গায় আচমকা ভিজিট দিয়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি ঢুকে গিয়েছিলেন হাসপাতালে এবং স্কুল-কলেজে। সেখানে গিয়ে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছিলেন মমতা। কিছুদিন আগে জেলা সফরে গিয়ে আচমকা ঢুকে পড়েন একটি চায়ের দোকানে। সেখানে গিয়ে আবার রান্না করেছিলেন তিনি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো করোনাভাইরাস টিকাকরণ কেন্দ্রের নাম। সূত্রের খবর এবার থেকে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় গিয়ে হঠাৎ করে টিকাকরণ কেন্দ্রে ঢুকে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।