মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি বহিরাগত, এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেই এবারে ফাঁসলেন উত্তরবঙ্গের নিষিদ্ধ সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সুপ্রিমো জীবন সিং। পাশাপাশি আবারো বঙ্গভঙ্গ ইস্যু উঠে এলো বঙ্গ রাজনীতিতে। গোপন ডেরা থেকে একাধিক বার্তা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীকেই বারবার বহিরাগত আখ্যা দেন তিনি। তারপরেই রাজ্য সরকারের তরফে UAPA আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পুলিশের তরফে এখনো কোনো মন্তব্য না করা হলেও সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। নবান্নের তরফেও সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। সবথেকে বড় ব্যাপারটি হলো এটি একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। আর এই জীবন সিংহের বিরুদ্ধে এর আগেও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এবারে UAPA আইনে মামলা। আবার এনার বিরুদ্ধে আগেও বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করার অভিযোগ আছে।
কিছুদিন আগে যখন বিজেপি সাংসদ জন বারলা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন, তখনও এই জীবন সিংহ পৃথক উত্তরবঙ্গ করার দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন। নিজেদের গোপন ডেরা থেকে জন কে সমর্থন করে বার্তা দিয়েছিলেন। আর এবারে আরো জোরালো বার্তা। এই বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি বহিরাগত আখ্যা দিলেন তিনি। তিনি বললেন, “ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে এবং পরে কোচ সাম্রাজ্য স্বাধীন রাজ্য ছিল। পরে ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত হয় এই ভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সেখানকার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জেরে পূর্ব বঙ্গের বাঙালিরা এই ভূমিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন”
তিনি দাবি জানিয়েছেন, এই ‘বহিরাগত’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গভঙ্গ নিয়ে যে দাবি তুলেছেন, সেটা একেবারেই মিথ্যা। তিনি এই বক্তব্যে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে বহিরাগত বলে উল্লেখ করেছেন। পুলিশের খবর অনুযায়ী আপাতত এই গুণধর আছেন মায়ানমারের কাছাকাছি। সোশাল মিডিয়া পোস্ট থেকে আপাতত তার আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় তদন্ত চলছে তার বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে উত্তরবঙ্গের দুই তৃণমূল নেতা বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং পার্থপ্রতিম রায়েকে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিলেন এই জীবন সিং। তারপরে তাদের বাড়িতে হামলাও চালানো হয়। আর এবারে সরাসরি গোপন ডেরা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বার্তা, ফলে অতিরিক্ত সতর্ক নবান্ন।
ভারতবার্তার তরফে এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হয়নি।