বিয়ের সাড়ে ৪ বছর পর করোনা আবহে প্রথমবার বাবা মা হন টলিপাড়ার মিষ্টি দম্পতি মধুবনী-রাজা। গত বছর পুজোর সময়ে নানান দেবতার নাম করে এই সুখবরটি নিজের সকল অনুরাগীদের বলেই ফেলেন মধুননী। ৯ মাস অপেক্ষা করার পর গত ১০ এপ্রিল মধুবনীর কোল আলো করে পুত্রসন্তানের জন্ম হয়, পুত্রের জন্মের পরেই রাজা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের একটি ছবি দিয়ে পোস্ট করে সবাইকে জানান দেয় যে তাঁর ছেলে হয়েছে, তবে ছেলের মুখ কায়দা করে ইমোজি বসিয়ে দিয়েছিল রাজা।
সদ্য সদ্য নতুন মাতৃত্বের সুখ উপভোগ করেছেন অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। ছেলেকে আদর করে রাজা মধুবনী নাম দিয়েছেন কেশব। দেখতে দেখতে কেশব বড় হয়েছে। কিছুদিন আগে এই ছোট্ট একরত্তি তিন মাসে পা দিয়েছে সকলের আদুর কেশব। এই ছোট্ট কেশবকে নিয়ে অভিনেত্রীর দিন রাত কেটে যাচ্ছে৷ কখনো ছেলেকে নিয়ে খেলছে তো কখনো ছেলেকে গান গেয়ে ঘুম পাড়াচ্ছে। ছেলের সাড়ে তিন মাস বয়স হতে চলেছে তবু এখনো কেশবের মুখ কাউকে দেখাননি। অন্যান স্টারকিডরা যেমন জন্মের সাথে সাথে বড় সেলিব্রেটি হয়ে যায় কেশবের ক্ষেত্রে তা এক্কেবারে হয়নি।
তাও একদল নেট নাগরিক আছে যারা একবার ছোট্ট কেশবকে দেখতে চায়। কেমন দেখতে এই একরত্তি জানার আগ্রহ সকলের। এই ব্যপারে কেশবের জননীর কি মতামত? সম্প্রতি মধুবনী নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে ছেলের সাথে ছবি দিয়্র নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। এবারেও ছেলের মুখ ঢাকা ছিল। তিনি লিখেছেন, ‘এই কথাটা সবার উদ্দেশে বলছি.. আমরা এখন আমাদের ছেলের মুখ দেখাতে চাই। এটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কারণ এই মুহূর্তে ওর মুখের ছবি আমরা ইন্টারনেটে সার্কুলেট করতে চাইছি না। যে তারকারা দেয়, সেটা তাঁদের ব্যপার, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমাদেরও যদিও কোনও দিন মনে হয়, আমরা নিশ্চই দেব। কিন্তু আপতত আমাদের মনে হচ্ছে না, তাই আমরা দিচ্ছি না। আশা করি আমাদের সিদ্ধান্তকে আপনারা সকলে সম্মান জানাবেন’। এরপর অভিনেত্রীর অনুরাগীর একাংশ মধুবনীকে সহমত জানিয়েছেন।
দিন কয়েক আগেই ছেলের সঙ্গে আরও একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি গর্বিত যে তাঁরা কেশবের জন্য কোনও আয়া রাখেননি। কেশবের জন্মের কয়েক মাস আগে যৌথ ভাবে রাজা আর মধুবনী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর প্রধানত দুটো কারণ। প্রথমত প্যানডেমিক। এই পরিস্থিতিতে বাইরের কোনও লোককে কেশবের কাছে আসতে দিচ্ছেননা এবং তিনি সম্পূর্ণ লকডাউনের মতো ২৪ ঘণ্টা আমার ছেলের সঙ্গেই থাকছেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা প্যানডেমিকের জন্য ছেলের উৎসব করে অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানও করবেন না কারণ তাঁদের কাছে সবার কাছে ছেলের সুরক্ষা। আর তিনি ওই মুহূর্তে ছেলেকে একা রেখে অভিনয়ের কাজে ফিরবেননা। ছেলেকে মানুষ করা তাঁর মেন প্রায়োরিটি। মধুবনীর এই পোস্ট দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছেন।