রাত হলেই সারা হোস্টেল জুড়ে একটা ভুতুড়ে ব্যাপার ঘটতে শুরু করে। যেন কোনো একজন হেটে যায় করিডোর দিয়ে, ছাদে কারো একটা হেটে চলার শব্দ আসে। এই অদ্ভুত অশরীরির দাবিতেই বর্তমানে চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের এক নার্সিং হোস্টেলে। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই এই বিষয়টি ঘটছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো হুশ নেই বলেও অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রীরা। এই অশরীরির অবস্থানের জন্য পড়াশোনা করতে পারছেনা তারা, তাই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।
দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি হোস্টেলের ঘটনা এটি। এই নার্সিং হোস্টেলে এখন বহু জায়গা থেকে পড়ুয়ারা এসে পড়েন। এই নার্সিং হোস্টেল বর্তমানে দুর্গাপুরের সবথেকে বড়ো নার্সিং হোস্টেলের মধ্যে একটি। এখানকার পড়ুয়াদের দাবি, গভীর রাতে হোস্টেলের ছাদে কে যেন একটা হেটে যায়। নানারকম ভুতুড়ে ব্যাপার স্যাপার ঘটে তাঁদের হোস্টেলে। কিন্তু তারা জানাচ্ছেন এই হোস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং গার্ড এই সমস্ত কথা একেবারেই হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
হোস্টেলের ওয়ার্ডেনদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কারণে এতদিন পর্যন্ত হোস্টেল বন্ধ ছিল। হঠাৎ করেই তাদেরকে পরীক্ষা অফলাইনে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তারপরেই আবারো পড়ুয়াদের হোস্টেলে এসে থাকতে শুরু করতে হয়। তারপর থেকেই রাত হলেই বিভিন্ন আজগুবি ঘটনা ঘটতে শুরু করে হোস্টেল জুড়ে। তারা দাবি জানায়, পরীক্ষা বাতিল করতে হবে অথবা পিছিয়ে দিতে হবে। এক পড়ুয়া দাবি করেছে, ” হোস্টেলে একটি জুতোর ছাপ পাওয়া গিয়েছে। সত্যি কোন ভৌতিক কাজ হয় বা কোন মানুষের কারসাজি হয় তাহলে তা তদন্ত করে দেখা উচিত। কিন্তু আমাদের কথার কোন পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না।” এছাড়াও পরীক্ষা বাতিল করার অথবা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে মঙ্গলবার হোস্টেল চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
যদিও হোস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এতদিন পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস হচ্ছিল এবং পরীক্ষা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেই পড়ুয়ারা আপত্তি জানিয়েছে। আসলে পরীক্ষা না দেওয়ার অজুহাতে এই সমস্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে পড়ুয়ারা নিজেরাই। এখানে কোন অশরীরী আত্মার কারসাজি নেই।