ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে আবারো বিক্ষোভ। তবে এবারের বিক্ষোভের দাবি সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন। শুক্রবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের প্রতিনিধিরা। গত সপ্তাহে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে। দিন কয়েক কাটতে না কাটতেই এবার এবার পাশ্বশিক্ষক এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বিক্ষোভ।
বেতন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে স্থায়ী চাকরি এবং আরও বিভিন্ন ধরনের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে পৌঁছে যান চুক্তিভিত্তিক এবং পার্শ্বশিক্ষকরা। তারা প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তারপরে তার বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। সকাল সোয়া দশটা নাগাদ দমদমে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তাদের একটাই দাবি, বাড়িতে ঢুকে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা।
তারপর মন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের বাড়ির সামনে থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে, ব্রাত্য বসুর দপ্তরে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দিতে থাকেন তারা। তারপরে ব্যারিকেডের বাইরে থেকেই নিজেদের দাবি দাবা নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন পার্শ্ব শিক্ষক এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা। তারা বারবার দাবি জানাতে থাকেন, “আমরা স্যারের সঙ্গে দেখা করে আমাদের ফাইল তাদের হাতে তুলে দিতে চাই।” মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎ করে স্থায়ীকরণ এবং বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি-দাওয়া সরাসরি তাদের কাছে রাখার জন্যই দাবি জানাতে থাকেন তারা।
তবে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরাও চাকরি দেওয়ার দাবি জানিয়ে গত রবিবার ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। তারপর সেখানে পুলিশ এসে চাকরিপ্রার্থীদের সেখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালে পরীক্ষা নেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত তার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই নিয়োগ করে চাকরিপ্রার্থীদের হাতে চাকরি তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যদি অন্যদিকে নিয়োগে অস্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের সামনে ১৪৮ দিন ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।কিন্তু তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। তারপরে সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পথ বেছে নিয়েছিলেন তারা। এবারে আবার শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করছেন শিক্ষকরা। আগেরবার চাকরি প্রার্থী হলেও এবারে কিন্তু সরাসরি শিক্ষকরা এসেছেন বিক্ষোভ করতে।