ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন আশ্বাসে অবশেষে তিন দিনের মাথায় উঠে গেল ট্যাংকার মালিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। এই ধর্মঘটে রীতিমতো সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল সাধারন মানুষ। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এর কোন ডিপোতে তেল পাওয়া যাচ্ছিল না ঠিকমতো করে। অন্যদিকে হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের পেট্রল পাম্পগুলির বিক্রি প্রায় তিন গুণ এর কাছাকাছি হয়ে গিয়েছিল যার ফলে সেই পাম্পগুলি সমস্যার মুখোমুখি। কিন্তু তারপরে ইন্ডিয়ান অয়েল এর সঙ্গে ট্যাংকার মালিকদের বৈঠকের পর ইন্ডিয়ান অয়েল এর আশ্বাসে অবশেষে ধর্মঘর তুলে নিল ট্যাংকার মালিকেরা।
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এর তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে টেন্ডারের বিষয়ে আগামী দিনে আলোচনা করা হবে সমস্ত মহলের সঙ্গে একসাথে।তার পাশাপাশি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। দুই পক্ষই এই নীতি নিয়ে আশাবাদী। মনে করা হচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আবারো সঠিকভাবে তেল সরবরাহ শুরু হয়ে যাবে প্রত্যেকটি ইন্ডিয়ান অয়েল পেট্রোল পাম্পে।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গ ট্যাংকার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন কে জানানো হয়েছিল, ইতিমধ্যেই ৬০টি চুক্তিপত্র তেলবাহী ট্যাঙ্কার বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভাড়া কমিয়ে দেওয়ার কারণে তারা প্রচন্ড সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন এবং তাদের দাবি না মানা হলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠন। এই বিষয়টি জানার পরেই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এর তরফ থেকে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন জানায় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করবে। এছাড়াও টেন্ডার বিষয়ে আগামী তিনি আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, আপাতত ধর্মঘট স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু ট্যাংকার মালিকদের অভিযোগ ছিল টেন্ডার এ পরিবহন খরচ অনেক কম। এর প্রতিবাদ করার জন্য ধর্মঘট করেছিলেন তারা।
অন্যদিকে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এর ৬ জেলা ইতিমধ্যে ৫০০ এর কাছাকাছি পেট্রোল পাম্প ড্রাই হতে শুরু করেছিল। ইন্ডিয়ান অয়েল এর ডিপো থেকে তেল বের হয়নি, তাই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এর ক্ষতির মাত্রা দিনে দিনে বাড়তে শুরু করেছিল। কলকাতা এবং সংলগ্ন বেশকিছু জেলায় পরিষেবা ব্যবহৃত হয়েছিল বেশকিছু ইন্ডিয়ান অয়েল পাম্প এ। অর্ধেক পেট্রোল পাম্প ইতিমধ্যে ড্রাই হয়ে পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বন্যা এবং করণা আবহে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। এই কারণেই তারা ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠনের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি আপাতত সামলানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি তাদের দাবি না মানা হয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে পারে পরবর্তীতে। মনে করা হচ্ছে, আজকে অথবা আগামিকাল থেকেই আবার সচল হয়ে যাবে সমস্ত ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এর পেট্রোল পাম্প।