জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

জেনে রাখুন গর্ভধারণে সমস্যার সৃষ্টি হয় কী কী কারণে

Advertisement

ভারতবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন । স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর সম্পর্ক। বিবাহের কিছু সময় পরে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আরো মধুর হতে থাকে যখন তারা সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ভাবেন। সন্তান জন্মের সময় স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আরো গভীর হতে থাকে।

কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এই আনন্দ সমান হতে নাও পারে। অনেক সময় শত চেষ্টার পরেও সন্তান জন্ম দিতে অনেক বাধার সৃষ্টি হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে প্রথম সন্তান সুস্থ ভাবে জন্ম নিলেও যখন দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ভাবা হয় তখন সফলতা পাওয়া যায় না।
এই সময় অনেকে চেষ্টা ছেড়ে দেন। আবার অনেকে আছেন যারা ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যান। অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসা করার পরেও অনেকেই সন্তান জন্ম দিতে পারেন না।

সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে যে শুধু স্ত্রীর মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা দরকার তাই নয় এ ক্ষেত্রে স্বামীরও মানসিক এবং শারীরিক দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। কারণ সন্তান জন্ম দিতে দুজনেই সমান ভূমিকা পালন করে।

নারীদের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা গুলি দেখা যায় সেগুলি হল–

১) নারীদের ডিম্বাশয়ে যখন ডিম্বাণু তৈরি হতে পারেনা তখন গর্ভধারনে বাধার সৃষ্টি হয়।
২) কোনো কারণে যখন ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে জরায়ু তে পৌঁছাতে পারেনা তখনও গর্ভধারনে বাধার সৃষ্টি হয়।
৩) নিষিক্ত ডিম্বানু যখন জরায়ুতে বড়ো হতে পারেনা তখন সন্তান জন্ম দেওয়া মুশকিল হয়ে পরে।
৪) প্রজনন অঙ্গে আগে থেকে যদি কোনো রোগ থেকে থাকে যেমন টিউমার বা সিস্ট তবে সেক্ষেত্রে সন্তান জন্মাবার সম্ভাবনা কমে যায়।
৫) এছাড়াও কিছু কারণ আছে যার জন্য সন্তান জন্ম দিতে নানা রকম বাধার সৃষ্টি হয়। যেমন কোনওরকম জীবাণুর সংক্রমণ দ্বারা সেই নারীটি আক্রান্ত হলে, না রীটির বয়স বেশি হওয়ার কারণে তার হরমোনগত সমস্যা থাকলে, বা অন্য কোনও জটিল রোগ যেমন ডায়াবেটিস থাকার কারনেও গর্ভধারনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

পুরুষদের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা গুলি দেখা যায় সেগুলি হল–

১) পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পেলে
২) যদি প্রজনন অঙ্গে কোন সমস্যা থেকে থাকে তা শুক্রাণুকে বাধা দেয়। এর ফলে সন্তান জন্ম দিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
৩) এ ছাড়া ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি কারণেও সন্তান জন্ম দিতে সমস্যা দেখা দেয়।

# একজন নারীর ক্ষেত্রে সন্তান জন্ম দেওয়ার সঠিক সময় হল ৩৫ বছরের আগে পর্যন্ত। কারন ৩৫ বছরের পর নারীদের গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
যখন গর্ভধারনে সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন স্বামী ও স্ত্রী দু’জনেরই উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলি করে নেওয়া।

Related Articles

Back to top button