বিগত আট মাস ধরে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ জমে উঠেছিল। দিন যত এগিয়েছে ততই এবারে এই শোয়ের টিআরপি ছিল বেশ ভালো। গতকাল ছিল এই শোয়ের গ্র্যান্ড ফিনালে। শেষ ছয় প্রতিযোগীর মধ্যে চলছে জোরদার গানের টক্কর। গত কাল ছিল ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। আর এই দিন দেশাত্মবোধক গানে মেতে উঠেছিল সারা মঞ্চ জুড়ে। স্বাধীনতা দিবসের দিন ১২ ঘণ্টা ধরে চলে গ্র্যান্ড ফিনালের অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা। এই দিন তালে, সুরে, নাচে, গানে, উৎসবে মেতে উঠেছিল ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ তথা ভারতবাসী।
এই দিন ছয় প্রতিযোগী পবনদীপ রাজন, অরুণিতা কাঞ্জিলাল, সন্মুখাপ্রিয়া, নীহাল তাউড়া, মহম্মদ দানিশ এবং সায়লি কাম্বলে নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়ে পারফর্ম করেন। গতকাল সারা ভারতবাসী ‘নাদান পরিন্দে ঘর আজা…’ গানে মজেছিল। টিভির পর্দা থেকে চোখ সরেনি কারোর। আর সরবেও বা কি করে। সুরের মূর্ছনায় যে ডুবে গিয়েছিলেন বিচারক থেকে শোয়ে উপস্থিত দর্শকের।
ইন্ডিয়ান আউডলের ১২ নম্বর সিজনের বিজয়ী হওয়ার অন্যতম প্রধান দাবীদার ছিলেন পবনদীপ রাজন আর অরুণিতা। অনেকের প্রশ্ন ছিল শেষ হাসি হাসবে কে? দুজনেই হাসলো তবে ১৯ -২০ তফাত। প্রথম হলেন উত্তরাখণ্ডের পবনদীপ আর বাংলার মেয়ে অরুণিতা দ্বিতীয়। ভালো বন্ধুর জয় দেখে খুশিতে আত্মহারা অরুণিতাও অন্যদিকে পবনদীপের চোখের তখন জয়ের অশ্রু। অবশ্য পবনদীপ নিজের নাম শুনে চোখে আনন্দের জল চলে আসে।
তবে অরুণিতা দ্বিতীয় হয়ে খুশি হলেও বড্ড বেশি নিরাশ হয়েছে বাংলার মানুষ। আসলে বনগাঁ-র ছোট মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলালের সুরেলা কন্ঠ নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল অনেক মানুষ। তাঁর একের পর এক ধামাকাদার পারফরম্যান্স, তাঁর মিষ্টি সুরের জাদুতে ৮ মাস ধরে ডুবেছিল গোটা দেশ সহ বিচারক। এমনকি গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে ‘ঘুমর’-এর তালে মাত করেছিলেন তিনি। আর অরুণিতার গান শুনে অনেকেই নেচে উঠেছিল৷ অবশ্য সব কিছুর হার জিত তো আছেই। তবে গোটা বাংলার মানুষের আশীর্বাদ আছে অরুণিতার মাথার ওপর।
উত্তরাখন্ডের শান্তশিষ্ট ছেলের এই জয় দেখে গায়কের মায়ের চোখে জল চলে আসে। অন্যদিকে জয়ী হিসেবে পবনদীপের নাম ঘোষণা হতেই তাকে ঘিরে চলে কোলে তুলে নাচ। সব লড়াই শেষে বিজয়ের ট্রফি ওঠে পবনদীপের হাতেই। ইন্ডিয়ান আইডলের সোনালি ট্রফি এবং ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারমূল্য জিতে নেন এই নবীন গায়ক। সাথে উপহার পান একটা গাড়িও। পাশাপাশি পবনদীপ আর বাকিরা সঞ্চয় করেছে অনেক মধুর স্মৃতি।