তৃণমূলের পত্রিকা জাগো বাংলায় একটি উত্তর সম্পাদকীয় লিখেছিলেন অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস। আর সেই উত্তর সম্পাদকীয় লেখার জন্য অনিল কন্যা অজন্তা কে সাসপেন্ড করেছে সিপিআইএম। কিন্তু কত দিন পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হলো অনিল কন্যাকে? এখনও পর্যন্ত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে যাচ্চেন অনেকেই। অনেকে প্রথমে মনে করছিলেন তিন মাসের মত সাসপেন্ড করা হয়েছে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে।
কিন্তু কলকাতা জেলা কমিটি এই সাসপেন্ড করার বিষয়টি নিয়ে আরো বেশি জল ঘোলা শুরু করে। তারা মনে করে, এই সাসপেনশন ছয় মাসের জন্য হওয়া উচিত। এরিয়া কমিটির তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানো হলেও রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে শনিবার এই নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হয়। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কতদিনের জন্য সাসপেন্ড হতে চলেছেন অজন্তা বিশ্বাস। তবে সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে ছয় মাসের সাসপেনশন এর আরজি মেনে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অজন্তার জন্য সওয়াল করতে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বাম নেতৃত্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অজন্তা বিশ্বাসের প্রসঙ্গে। এই নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে বাম নেতৃত্ব। গত 21 শে জুলাই শহীদ দিবসের দিন জাগো বাংলায় যে দৈনিক প্রকাশিত হয়েছিল সেখানে একটি ৪ কিস্তির উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়। বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়র লেখিকা ছিলেন অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস। অনিল বিশ্বাস নিজের জীবদ্দশায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন এবং ছিলেন গণশক্তির সম্পাদক।
এরকম একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কন্যা হয়ে বিরোধী দলের মুখপত্রে কিভাবে বিরোধী নেত্রীর প্রশংসা করলেন অজন্তা বিশ্বাস সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। তার পরবর্তীতে অজন্তাকে শোকজ করে সিপিআইএম কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে অজন্তা জাগো বাংলায় লেখা নিয়ে প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, ” আমি ইতিহাসের শিক্ষার্থী। আমার গবেষণার অন্যতম বিষয় হলো বঙ্গনারী। আমার লেখায় কংগ্রেসের নেত্রী দের কথা যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে বামপন্থী নেত্রীদের কথা। কিন্তু বঙ্গের রাজনীতিতে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ আসবেনা এরকমটা হতে পারে না। তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। পুরুষপ্রধান রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করার অদম্য চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণেই তার প্রসঙ্গ উঠেছে এই উত্তর সম্পাদকীয়তে। ” যদিও অজন্তার ব্যাখ্যানে একেবারেই সন্তুষ্ট হয়নি পলিটব্যুরো। সকলেই মনে করছেন অজন্তা বিশ্বাসের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। কিন্তু কত মাসের শাস্তি? সেটাই ঠিক করে উঠতে পারছেনা সিপিআইএম।