এবারে আরো বাড়লো হকারের সমস্যা। চলন্ত ট্রেনে হকার ওঠায় রাশ টানার জন্য আরো কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় রেলওয়ে। ট্রেনের হকারদের জন্য সময় আরো খারাপ। সূত্রের খবর, এবার থেকে যদি কোন চলন্ত ট্রেনে হকার উঠে পড়ে তাহলে সেই এলাকার পোস্ট ইন্সপেক্টর কে দায়ী করা হবে। রেলওয়ে পুলিশ ফোর্স এর তরফ থেকে এই নির্দেশ কার্যকর করা হলে কার্যত ভিশন সমস্যার মুখোমুখি হবেন ট্রেনের হকাররা।
হাওড়া ডিভিশনের আরপিএফ এর সিনিয়র কমান্ডেন্ট প্রত্যেকটি পোস্ট ইন্সপেক্টরকে একটি লিখিত নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, চলন্ত ট্রেনে যদি কোন হকার ওঠেন সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোস্ট ইন্সপেক্টর কে দায়ী করা হবে তার জন্য। ধরে নেওয়া হবে প্রকার ওঠার পেছনে তার হাত রয়েছে। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।এই প্রসঙ্গে হাওড়ার বরিষ্ঠ আধিকারিক অজয় প্রকাশ জানিয়েছেন, রেল স্টেশন চত্বরে কিন্তু হকারি করা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। হকারি করার বিরুদ্ধে রেলের নিজস্ব আইন রয়েছে। কিন্তু কেউ এই আইনের তোয়াক্কা করে না। বরং অনেক হকাররা জোর জবরদস্তি ব্যবসা করে আসছে।
রেল পুলিশের অভিযোগ, বহু রেল যাত্রীরা সম্প্রতি অভিযোগ করে আসছেন, তাদের উপর হকারেরা অত্যাচার করেন, এবং এই কারণে ট্রেনে হকার ওঠা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অন্যদিকে অ্যান্টি হকিং স্কোয়াডের কর্মীদের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১২ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করে দেওয়া হয়েছে। হকার রোধ করতে যদি ইন্সপেক্টররা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হন, তাহলে এই আন্টি হকিং স্কোয়াড কাজে নামবে। আরপিএফ সূত্রে খবর, এই আন্টি হকিং স্কোয়াড আরো কড়া হাতে হকার দমন করবে। আরপিএফ এর নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আইএনটিটিইউসি এর তরফ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।তারা হকারদের অত্যাচারের বিষয় মানতে রাজি নন।
এই মুহূর্তে রাজ্যে লোকাল ট্রেন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। লকডাউন এর জেরে হাজার হাজার হকার অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে রেল পুলিশের এরকম একটি ফরমান কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন রেল পুলিশের এই নীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো। একই কথা জানিয়েছেন হাওড়া শহর আইএনটিটিইউসি সভাপতি প্রাণ কৃষ্ণ মজুমদার। তার কথায়, “রেল যদি খেতে না পাবা মানুষগুলোকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে তাহলে আমরাও ট্রেন অবরোধ করে এর জবাব দেবো।”