গোকুলে কৃষ্ণ এসেছিলেন মা যশোদার কাছে ৷ আর সেই আনন্দে জন্মাষ্টমীর পরদিন নন্দ উৎসব করেছিলেন যাদবরাজ নন্দ৷ এই দিন বাচ্চা ছেলেমেয়েদের তাদের পছন্দমতো খাওয়াতেন তিনি ৷ হাজার হাজার বছর ধরে সেই রীতি আজও পালিত হয়ে আসছে ভারতের নানান প্রান্তে। জন্মাষ্টমীর পর দিন নন্দোৎসবে বাড়ির আশে পাশের কচিকাঁচাদের পাতে পড়ে তালের বড়া, তালক্ষীর, তালের পুলি, তালের লুচির মতো লোভনীয় খাবার ৷
এই একইভাবে নন্দো উৎসবে মাতলেন গায়িকা তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সী। অদিতি যেমন রুপে লক্ষী তেমনই গুণে সরস্বতী। যতটা সুন্দর কীর্তন করেন ঠিক তেমনি নিজের এলাকায় দায়িত্ববান বিধায়কের ভূমিকা পালন করছেন। সারেগামাপা’র মঞ্চ থেকে অদিতি অসাধারণ কীর্তন গেয়ে সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন। এরপরেই বাংলা ছবিতে প্লেব্যাকের সুযোগ। এরপর অদিতি ওয়ে ওঠেন রায় কিশোরী।
হাজার ব্যস্ততার মধ্যে বিধায়ক অদিতি মুন্সী নন্দোউৎসবে মেতে উঠলেন। গতকাল জন্মাষ্টমীর দিন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সেলিব্রেশন। কীর্তনীয়ার বাড়িতে সাতটি গোপাল আছে। আর তাদের নিত্য সেবা করেন অদিতি। জন্মাষ্টমী তিথিতে প্রাণভরে উৎসবের আয়োজন করেন গায়িকা। শাশুড়ি মা এবং গায়িকা মিলে রান্নার সমস্ত আয়োজন করেন। এইদিন গোপালকে দুধ গঙ্গাজলে স্নান করিয়ে নতুন পোশাক পরিয়ে দিয়েছেন। ভোগের মধ্যে এই বছর নিজের হাতে রেঁধেছিলেন পোলাও, ফ্রায়েড রাইস, পাঁচ রকম ভাজা, লুচি, তরকারি, নাড়ু, তালের বড়া, মালপোয়া, ১২ রকমের মিষ্টি, আর ছিল ক্যাডবেরি, পায়েস। আর এই সাজের ভিডিও নিজেই শেয়ার করলেন অদিতি।
আর আজ ছিল নন্দদের দিন। এই দিন জ্যান্ত নন্দদের হাসিমুখ ফোটাতে অদিতি মঙ্গলবার পৌঁছে গিয়েছিলেন এক বিশেষ ঠিকানায় ৷ সেখানে একসঙ্গে বড় হচ্ছে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কিছু কচি কাঁচা। আর এদের নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন অদিতি। এই বিশেষ দিনে প্রিয় নন্দদের পাতে নিজের হাতে পরিবেশন করলেন খিচুড়ি, কয়েক রকম ভাজা, পায়েস-সহ নানা খাবারের পদ।
তিনি এতদিন ছিলেন ব্যস্ত শিল্পী ৷ অদিতির এই উদ্যোগ দেখে অনেকে ভালোবাসা জানিয়েছেন।