করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও এখনো পুরোপুরি করোনা আমাদের ছেড়ে চলে যায়নি। এদিকে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো এগিয়ে এসেছে। করোনা আবহে বিধিনিষেধ মেনে কীভাবে জেলায় দুর্গা পুজোর আয়োজন করতে হবে, সেই রোডম্যাপই ঠিক করে দিতেই বুধবার নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও কমিশনার।
বুধবারের বৈঠকে মুখ্যসচিব সকলকে নির্দেশ দেন, তিন দিক খোলা মণ্ডপে করতে হবে। আগের বারের পুজোর গাইডলাইন এবারেও বলবত্ থাকবে। সকল দর্শনার্থীকে মাস্ক পরা-সহ মানতে হবে কোভিড বিধি।
পাশাপাশি, পুজোয় মাস্ক পরা নিয়ে পুলিশিকে সচেতনতামূলক প্রচারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পকরোনা বিধি মেনে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে ক্লাবগুলির সঙ্গে সমন্বয় করবে পুলিশ ও প্রশাসন। আর প্রতিটি পুজো মণ্ডপের ভিতরে যাতে প্রচুর পরিমাণে জায়গা থাকে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
বৈঠকে মুখ্যসচিব এই দিন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক সকলকে মনে করিয়ে দেন, এবারের পরিস্থিতি মোটেও গতবারের মতো নয়। গত বছর পুজোর সময়ে রাজ্যে বহু জায়গা কনটেন্টমেন্ট জোন ছিল। সংক্রমণের সংখ্যাও খুব বেশি ছিল। সেই কারণে অনেকেই গত বছর ভয়ে বাইরে বেরোয়নি। কিন্তু এবারে পরিস্থিতিই সম্পূর্ণ আলাদা। তবে করোনার তৃতীয় ওয়েবের কথা মাথায় রাখতে বলেছেন। একদিকে যেমন অনেক মানুষ টিকা পেয়ে গিয়েছেন, পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের হারও অনেকটাই কমেছে। ফলে এবারে গতবারের তুলনায় প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরোনোর ঝুঁকি নিতে পারেন। তাই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনকে সজাগ ও সচেতন দুই থাকতে হবে।
উল্লেখ্য,মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেখানেই যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে দুর্গাপুজো করার নির্দেশ দেন তিনি। তবে এরইসঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরো বলেছিলেন, পুজোর বিসর্জন শুরু হবে আগামী ১৫ই অক্টোবর -১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত। সেই নিয়ম মেনে ১৮ই অক্টোবর পুজোর কার্নিভাল হওয়ার কথা। কিন্তু এবছর পুজোর কার্নিভ্যাল হবে কিনা সেই বিষয়েও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।