এবছর বর্ষাকাল পুরোপুরি জমে গিয়েছে। বৃষ্টি পড়লে অনেক খাদ্যরসিক গরম গরম খিচুড়ি আর ডিম ভাজা খেতে শুরু করে দেন তো অনেকে ঘর অন্ধকার করে ভূতের বই পড়তে শুরু করে দেন। বৃষ্টির মধ্যে বাটিতে একটু মশালাদার কিছু খাবার আর গা ছমছম করা ভূতের গল্প মন্দ হয়না বেশ। কিন্তু সত্যিই যদি আপনাকে বই থেকে বেরিয়ে ভূতের সাথে বাস করতে হয়, তখন? ভাবছেন তো কি আজগুবি বলছি? তবে এমনটাই হয়েছিল একবার হেমা মালিনী’র সাথে
হেমা মালিনী। এই নামটা আট থেকে অষ্টাদশী সমস্ত পুরুষদের ড্রিমগার্ল। অভিনেত্রীর অভিনয় দক্ষতা থেকে নাচ, যা নিয়ে নতুন করে বলার কোনও অপেক্ষা রাখে না। বলিউড ইন্ড্রাস্টিতে নিজের রুপ, অভিনয় আর নাচ সবেতেই ছাপ রেখেছেন দর্শকমনে। তবে তিনি ভূতে বড্ডো ভয় পান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভূতূড়ে অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন বলি ডিভা। যা শুনলে আপনাত গায়ে গা কাটা দিতে পারে।
হেমাজি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বলিউডে কেরিয়ার শুরু সময় মুম্বইতে নিজের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন বলি নায়িকা। কেরিয়ার যখন উর্ধ্বগগণে তখনই বান্দ্রার একটি বাড়িতে শিফট করেছিলেন সুন্দরী হেমা মালিনী। এবং সেখানেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়েছিলেন হেমা মালিনী। কি হয়েছিল অভিনেত্রীর সাথে?
সেই সময় অভিনেত্রী ‘তখন ‘স্বপ্নো কে সওদাগর’ ছবির শ্যুটিং নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিলেন। এর মাঝেই সুবোধ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘অভিনেত্রী’-তে কাজের সুযোগ পান। এরপরেই বান্দ্রার ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছিলেন। কয়েকদিন যেতে না যেতেই তিনি টের পেয়েছিলেন এই বাড়িটা পুরোপুরি ‘ভূতুড়ে বাড়ি’। কারণ সেখানেই তিনি নিজের জীবনের গায়ে কাঁটা দেওয়া অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন।
সামান্য থেমে এই জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেছিলেন, ওই বাড়িতে প্রতি রাতে ঘুমোনোর সময় তাঁর মনে হত কেউ যেন তাঁর গলা টিপে ধরছে। শ্বাস নিতে অসুবিধে হত। ছটফট করতে করতে ঘুম ভেঙে গিয়েছে অভিনেত্রীর। অন্যদিকে পাশে তাঁর মা নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন।আর এই ঘটনা এক বা দু’রাতের ছিলনা প্রতি রাতেই এক ঘটনা ঘটতো তাঁর সাথে। এরপরেউ নিজের ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই আর দেরি না করে নিজে জন্য একটি ফ্ল্যাট কিনেও ফেলেছিলেন হেমা। দ্রুত জিনিসপত্র নিয়ে সেই বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন।