টলিউডের স্ট্রেট ফরওয়ার্ড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। ইনি আর এখন টলিউড অভিনেত্রী নন এর পাশাপাশি তিনি এখন যুব তৃণমূল সভানেত্রী। এখন অভিনেত্রী একদিকে অভিনয়ের কাজ পাশাপাশি দলের গুরুদায়িত্ব সায়নীর কাঁধে। গত মার্চ মাসে সরাসরি শাসক দলে নাম লেখান। বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল থেকে ভোটে দাঁড়ান। ভোটে জিততে না পরালেও, জনপ্রিয়তা কমেনি। বরং দিন যত যাচ্ছে বেড়েই চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ হিসেবে এখন পরিচিত অভিনেত্রী ও তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ।
রাজনীতির ময়দানে পা রাখার পর থেকেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় একটু বেশিই সক্রিয় সায়নী এই টলিউড অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তাও বেড়েছে তুমুল গতিতে। দীর্ঘদিন পর নিজের কাজের জায়গা অর্থাৎ শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরেছেন সায়নী। রাজনৈতিক কর্মব্যস্ততা সামলে একটু পুরোনো ভালোবাসার কাছে ফেরাও বলা যেতে পারে। শুক্রবার রাত থেকে ফেসবুকে শ্যুটিং ফ্লোর থেকেই একটা ছবি পোস্ট করেছেন সায়নী। এই ছবিতে সায়নীকে লাল পাড় সাদা শাড়ি, এক ঢাল খোলা চুলে মোহময়ী সায়নী ঘোষ। মাথা ভর্তি সিঁদুর, কপালে বড় লাল টিপ, হাতে শাঁখা-পলা, নাকে নথ- একদম বাঙালি সাজে ধরা দিয়েছেন বঙ্গ তনয়া।
এই সুন্দর ছবির ক্যাপশনে সায়নী লেখেন- ‘চাপের মধ্যেও সাহস ধরে রাখাই হল লাবন্য’। এই ছবি দেখে অনুগামীরা ভালোবাসা জানালেন। সব ঠিকই ছিল, কিন্তু সায়নীর এই ছবিতে এক বিরাট ভুল ধরলেন এক নেটিজেন। এক জনৈক সায়নীর এই ছবির কমেন্ট বক্সে লেখেন- ‘খুব সুন্দর লাগছে তবে শাঁখা পলাগুলো একটু সোজা করে পরলে আরও ভালো লাগত। আগে শাঁখা পরে পলা পরতে হয়’। আসলে তিনি শাঁখা-পলা পরবার একটু গণ্ডগোল করে ফেলেছিলেন এই অবিবাহিতা নায়িকা। এই কমেন্টের পালটা উত্তর দিলেন সাহসী সায়নী৷ নেটিজেনকে ধন্যবাদ জানান সায়নী, লিখলেন, ‘আপনি আমাকে কনটিনিউটি মিসটেকের মতো বিরাট ভুলের হাত থেকে বাঁচালেন, অশেষ ধন্যবাদ’।
একই সাজে দিন কয়েক আগে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন সায়নী। তখন অবশ্য নায়িকার হাতে আগে শাঁখা এবং পরে পলা পরা ছিল। এই সময় অভিনেত্রী পরিচালক অনীক দত্তের পরবর্তী ছবি ‘অপরাজিত’-র শ্যুটিং করছেন। এই ছবিতে তাঁর চরিত্রে নাম বিমলা রায়। ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়ের জীবনের ওপর কিছুটা মিল রেখেছেন তবে পরিচালক এটিকে বিজয়া রায়ের বায়োপিক বলতে না-রাজ। সায়নীর বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করছেন আবির চট্টোপাধ্যায়।