Mainul AhsanNobel: সারেগামাপা-খ্যাত বাংলাদেশের গায়ক নোবেলকে ডিভোর্সের নোটিস স মেহরুবা!
সঙ্গীতজগতের এক বিতর্কিত নাম হল নোবেল। একের পর এক ভুল করেই চলেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক মঈনুল আহসান নোবেল। একটা বিতর্ক শেষ হতে না হতেই নতুন কিছু বিতর্কে হামেশাই জড়িয়ে পড়েন সারেগামাপা খ্যাত এই বাংলাদেশি গায়ক। কখনো গান চুরির অপবাদ আবার কখনো স্ত্রীকে অত্যাচারের অপবাদে একাধিকবার খবরে শিরোনামে এসেছেন নোবেল। সারেগামাপার মাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে নিজের গানের পরিবর্তে এখন এদেশে নানান সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন নোবেল।
কিছুদিন আগেই নোবেল ম্যান ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে সমস্যার কথা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। এবার জানা যাচ্ছে, এই গায়কের বাসায় আইনি বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। অবশ্য আজ অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুকের পেজে নোবেল ‘ডিভোর্সড’ কথাটি উল্লেখ করে একটি নির্দিষ্ট ছবি পোস্ট করেন। এরপর অনেকে নোবেলকে নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেন।
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলের সঙ্গে ভালোবেসে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন নোবেল। তারপর থেকে প্রায়দিন নিজের স্ত্রীর সঙ্গে নানান ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করতেন এই গায়ক। এমনকি গানের ভিডিও বানিয়েছেন। তবে মাঝে এদের মধ্যে এদের সম্পর্কে চিড় ধরে। এতটাই ফাটল ধরে যে বৈবাহিক সম্পর্ক ভাঙনের পথে। জানা যাচ্ছে, গত মাসে ১১ সেপ্টেম্বর নোবেলকে সেই নোটিস পাঠান মেহরুবা।
এক সংবাদমাধ্যমকে মেহরুবা জানিয়েছেন, ‘নোবেল ডিভোর্স পেপারে হয়ত সই করে দিয়েছেন। ডিভোর্স পেপার সই করলে বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে যাওয়ার কথা। সই সাবদ হয়ে গেলে তিন মাস পর আইন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচ্ছেদ কার্যকর হবে। ডিভোর্স নিয়ে মেহরুবা আরো বলেন, নোবেল মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ, মাদকাসক্তি। অন্য নারী, নেশার পাশাপাশি তাঁকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। নোবেলের বিরুদ্ধে সব কিছুর প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। এসব কারণে নোবেল ম্যানকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে নোবেল-পত্নী আরও লেখেন, ‘একটা ডিভোর্স অথবা সংসার ভেঙে যাওয়া কখনোই সুন্দর কিছু না। কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। তারপরও আমি নোবেলের সার্বিক সুস্থতা কামনা করি এবং তার ভবিষ্যতের জন্য আমার তরফ থেকে সব সময় দোয়া থাকবে।’