রাত পোহালেই এশিয়ার বৃহত্তম তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ‘কলকাতা ডার্বি’ মুখোমুখি কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল – মোহনবাগান। কিন্তু ঘটি বাঙালের এই মহারণের আগে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে? দুই দলের শক্তি, দুর্বলতাই বা কোথায়? আসলে এই মেগাম্যাচের কোনো প্রেডিকশন হয় না কারণ এটা তো ফুটবল সবথেকে অনিশ্চয়তার খেলা তার মধ্যে ডার্বির টেম্পারমেন্ট যা ৯০ মিনিটেই হিরো কে জিরো আর অনামী খেলোয়াড় কে হিরোর আসনে বসিয়ে দিতে পারে। কিন্তু গত কয়েক ম্যাচের দিকে তাকালে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে হয় ইস্টবেঙ্গল কে আলেহান্দ্রো কাল ডার্বিতে নামার আগে অনেক বেশি সুবিধার জায়গায় আছে কারণ দলের ৮০% খেলোয়াড় এর আগে ডার্বি খেলেছেন তাই অভিজ্ঞতার বিচারে ইস্টবেঙ্গল কিছুটা এগিয়ে মোহনবাগানের থেকে।
বাগানের অর্ধেক খেলোয়াড় এর এটাই প্রথম ডার্বি বিদেশীদের কেউই এর আগে কলকাতা ডার্বির ৭০ হাজারি গ্যালারির মাঝে খেলতে অভ্যস্ত নন কোচ কিবুরও এটা প্রথম ডার্বি। অপরদিকে কিবুর দলের সমস্যা ফিটনেসে ৬০ মিনিটের পর গোটা দল দাঁড়িয়ে পড়ছে অপরদিকে কার্লোস নোদারের ইস্টবেঙ্গল হয়তো প্রিসিজন করে নি তবুও অনায়াসে দল ৯০ মিনিট কি তারও বেশি গতিময় ফুটবল খেলতে পারে। মোহনবাগানের অপর সমস্যা হলো তাদের ডিফেন্স প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই গোল হজম করেছে দল অপরদিকে পিন্টু-কোলাডো-বিদ্যাসাগর-মার্কোস দের ইস্টবেঙ্গল কে রুখতে তাই বাড়তি কসরত করতে বাগান ডিফেন্স কে।
ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স কিন্তু আগাগোড়া জমাট খেলতে পারে মার্তি,আশির,সামাদ,অভিষেক,কমলপ্রীত,মনোজরা অত্যন্ত ভালো ডিফেন্স করে এসেছে মরশুমের শুরু থেকেই তবে শেষ মূহুর্তে গোল হজম লাল-হলুদের চিন্তার কারণ হতে পারে। মাঝমাঠ প্রসঙ্গে আসলে বেইতিয়ার সাথে কাশিমের লড়াই হতে চলেছে কাল বেইতিয়া নিঃসন্দেহে বাগানের সেরা প্লেয়ার এই মরশুমে মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ তৈরি ও ডিফেন্স চেরা পাস বাড়ানোর সিদ্ধহস্ত তিনি অপরদিকে কাশিম ডিফেন্সিভ ব্লকার কার্যত দলের Unsung Hero কড়া ট্যাকেল করতেও সক্ষম তিনি তাই বেইতিয়াকে মাঝমাঠেই আটকানোর গুরুদায়িত্ব থাকবে তার উপর। সব মিলিয়ে ডার্বির আগে রীতিমত হোমওয়ার্ক সেরে ফেলেছে দুই দল তাই যা হিসেব নিকেশ তা মিলবে কি না তা জানা যাবে কাল দুপুর ৩ টে যুবভারতীর সবুজ ঘাসে।