বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানা হল গোয়া। তবে এই সফরের শুরুতেই রাজনৈতিক হোঁচট খেতে হয়েছে তাঁকে। এয়ারপোর্টে নামতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হয়েছে কালো পতকা। তবে থেমে থাকার পাত্রী নন মমতা। গোয়ায় নতুন ভোর আনতে এক্কেবারে বদ্ধ পরিকর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এখন তাঁর প্রধান লক্ষ বাংলা ছাড়িয়ে তৃণমূলকে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার। আর সেই লক্ষ্যেই আপাতত পশ্চিমের বিলাসী সমুদ্রতট গোয়ায় ঘাঁটি বেঁধেছেন তিনি৷ ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, জুম্মাবারে দিন ভর ঠাসা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন তিনি৷
শুরুতেই গোয়ার ডোনাপলার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তৃণমূল নেত্রী। দলী রূপরেখা নিয়ে নেতৃত্বর সঙ্গে আলোচনার পর বেলা ১২টায় তাঁরাওয়ার কথা পানাজির বেটিমে। সেখানে সকল মৎস্যজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুরে ডোনাপোলা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বাংলার দিদি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গোয়ার মাটি ছোঁয়ার পরই রাজপথে কালো পতাকা দেখতে হয়েছে নেত্রীকে। অন্যদিকে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা বিজয় সরদেশাইয়ের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর বৈঠকের সম্ভবনা তৈরি হলেও শেষ মুহূর্তে বিজয় সরদেশাই নিজের মত বদলেছেন। আর গোয়ায় বিজেপির জোটসঙ্গী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। তবে আজ সকলের নজর রয়েছে এই সাংবাদিক বৈঠকে নেত্রী কি বলেন সেদিকে।
সূত্রের খবর, দুপুরে পোন্ডায় মুঙ্গয়েশি মন্দির দর্শন করবেন মমতা৷ আর সেখান থেকে গোয়ার শ্রী মহালসা নারায়ণী মন্দির, পোন্ডার তপভূমি মন্দির এগুলি ভ্রমণ করবেন। এখানেই শেষ নয় সন্ধ্যার দিকে ইন্টারন্যাশনার সেন্টারে নাগরিক সমাজের মুখোমুখিও হবেন তিনি। আর সেখানে শুনবেন গোয়ার নাগরিকদের কথা৷ আর তিনি সকলকে বলবেন, নিজের কথা, নিজের দলের কথা৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যিনি বাংলা থেকে ৩৪ বছরের জগদ্দল পাহাড়কে সরিয়ে ফেলার কিংবা একুশের ভোটে আস্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে নাজেহাল করার ক্ষমতা রাখেন৷ স্বভাবতই, মমতা গোয়ার মাটিতে পা রাখা ইস্তক তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছেন বিজেপি ও কংগ্রেস৷ তবে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “গোয়ায় মোট ১৪ লক্ষ ভোটার। তাঁদের মধ্যে কত জন চেনে তৃণমূল কংগ্রসকে? ওদের তো কোনও সংগঠন নেই। গোয়ায় তৃণমূলের জায়গা করতে গেলে আগে তো তৃণমূলকে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওখানে তৃণমূলকে কেউ চেনে না। আর নেতা-এমএলএদের কেনা? এ সব তো গোয়াতে কেনা যায়। মাল নিয়ে যান, গেলেই কিনতে পারবেন! ”