বলিউডবিনোদন

Mumbai Cruise Drugs Case: জেল থেকে বেরিয়েও শাহরুখের ছেলে করতে পারবেন না এই পাঁচটি কাজ

Advertisement

দিওয়ালিতে আলো জ্বলবে মন্নতে৷ কারণ তার আগেই ঘর আলো করে মন্নতে ফিরতে চলেছেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। মাদক মামলায় প্রায় ২৬ দিন হেফাজতে থাকার পর শেষমেশ বৃহস্পতিবার মুম্বই হাই কোর্ট থেকে জামিন পেলেন আরিয়ান। তবে এখনও আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। এর জন্য কিছুটা সময় লাগবে। তাই বৃহস্পতিবারও তাঁকে থাকতে হয়েছে মুম্বাইয়ের আর্থার জেলে। ২ অক্টোবরে প্রথমে আটক। তারপর ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার। তারপর থেকেই বারবার নানা কারণে আদালতে খারিজ হয়েছে আরিয়ানের জামিন।

নিম্ন আদলাতে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের আইনজীবী ছিলেন সতীশ মানশিণ্ডে। তারকাদের আইনজীবী হিসেবে বেশ জনপ্রিয় সতীশ। তবুও আরিয়ানের জামিন পাওয়াতে পারেনব্জ ২৬ অক্টোবর গোটা কাণ্ডে একেবারে হিরোর মতো এন্ট্রি নেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি। তবে সেদিন তিনি আরিয়ানকে জামিন করাতে প্রায় অক্ষম হন। এমনকী, ২৭ অক্টোবরের শুনানিও স্থগিত হয়। অবশেষে ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আরিয়ানের জামিন হওয়ার পরই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন মুকুল।

তবে এনসিবির হাত থেকে এখনই রেহাই নেই আরিয়ানের। তিনি এখন জামিন পেলেও সেই নির্দেশের প্রতিলিপি এখনও দেওয়া হয়নি বম্বে হাই কোর্ট। শুক্রবার তা দেওয়ার পরই আদালতে জেল থেকে মন্নতের উদ্দেশে রওনা দিতে পারবেন আরিয়ান। জেল থেকে বেরিয়েও বেশ কয়েকটি নিয়ম তাকে মানতে হবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হতে পারে শাহরুখ পুত্রকে।

১.বিদেশ ভ্রমণ: মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা’র দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, বিশেষ আদালতের কাছে আরিয়ানকে নিজের পাসপোর্ট জমা রাখতে । তিনি বিশেষ অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না।’

২.দেশের মধ্যেই ঘুরতে যাওয়া: বিদেশের মতো দেশের বিভিন্ন জায়গাতে চাইলেও শাহরুখ তনয় এখন কোথাও যেতে পারবেন না। মুম্বই ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে হলে তদন্তকারী অফিসারকে জানাতে হবে।

৩.মামলার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি: জেল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রমোদতরীর মাদক-মামলার সাথে যুক্ত আদালতে হওয়া কথোপকথন কাউকে বলতে পারবেন না আরিয়ান। এমনকি এই বিষয় তিনি নেটমাধ্যমেও কিছু লিখতে পারবেন না তিনি।

৫.সহ-অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন: জেল থেকে বেরিয়ে এই কেসের সাথে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এনসিবি। ফোন-সহ কোনও ধরনের যোগাযোগেই এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মাদক-মামলার তদন্তকারী সংস্থা।

এ ছাড়াও এই মামলার সাথে যুক্ত কোনো প্রমাণ নষ্ট করা, সাক্ষীকে প্রভাবিত করা, তদন্তে অসহযোগিতা করতে পারবেন না। এই বিষয়গুলি শুধু আরিয়ান নয় ভারতীয় দণ্ডবিধির সাথে যুক্ত সব মামলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। জামিনের এই প্রতিলিপি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছনোর অপেক্ষায় রয়েছেন কিং খানের পরিবার। কারণ তার পরই শুরু হবে আরিয়ানের জেল থেকে বেরনোর প্রক্রিয়া।

Related Articles

Back to top button