Priyam Chakroborty: সদ্য মা হয়েছেন ‘মিঠাই’র নন্দা! শেয়ার করলেন একরত্তির মিষ্টি ছবি
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাইতে নন্দার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রিয়ম চক্রবর্তী। তবে হঠাৎ করে মিঠাই ধারাবাহিকে শ্যুটিং করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুধু মিঠাই নয় ধারাবাহিক, ওয়েব সিরিজের সব শ্যুটিং এখন বন্ধ রেখেছেন অভিনেত্রী। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে মিঠাই এর নন্দার চরিত্র থেকে স্বেচ্ছায় সরে এসেছেন প্রিয়ম। তারপরেই আসল কারণ জানা যায় জুলাই মাসে। তাঁর ধারাবাহিক ছাড়ার কারণ।।
এই জুলাইতেই প্রথমবার মা হয়েছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ছেলের মা বাবা প্রিয়ম চক্রবর্তী আর শুভজিৎ করের। এখন ছেলেকে নিয়ে সমস্ত দিন কাটছে অভিনেত্রীর। ছেলেকে নিয়ে কেটেছে এই বারের দুর্গোৎসব। তাই এই পুজোটাও একেবারেই সম্পূর্ণ আলাদা অন্যবারের তুলনায়। ছেলেকে নিয়ে প্রথম পুজো উদযাপন করেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা শুভজিৎ জানিয়েছেন, ছেলেকে কাছে পাওয়ার পর এবারের পুজো তাঁদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সন্তানের মা-বাবা হওয়ার পর থেকে তাঁদের জীবন খুশিতে ভরে গিয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এখন দুই তারকার গোটা সময়টা নিয়েই কাটে এই একরত্তিকে নিয়ে।
ছেলেকে ভালোবেসে মা বাবা রেখেছেন মিশভ। মিশভ হওয়ার খুব একটা প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী। তবে এই প্রথম একরত্তির মিষ্টি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রিয়মের আঙুল ধরে রয়েছে একরত্তি ছেলে মিশভ। আর বিছানায় শুয়ে রয়েছে সে। অবশ্য এই ছবিতেও ছেলের মুখ স্পষ্ট দেখাননি অভিনেত্রী। নেট দুনিয়াতে এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমাদের জগতের শাসক’। এরপরেই অনুগামীরা ভালোবাসা জানিয়েছেন মিশভকে। নিমেষে ভাইরাল হয় প্রিয়মের শেয়ার করা এই পোস্ট।
মহাপীঠ-তারাপীঠ, মিঠাইয়ের মতো একাধিক বাংলা ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ প্রিয়ম চক্রবর্তী। মা হওয়ার পর কাজ থেকে বিরত নিয়েছেন। মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে ফের কাজে ফিরবেন। অন্যদিকে ধ্রুবতারা ধারাবাহিকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাচ্ছিল শুভজিতকে। সদ্য শেষ হয়েছে এই ধারাবাহিকের কাজ। ছোটপর্দায় একসঙ্গে কাজ না করলেও সেনাপতি ওয়েব সিরিজে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে এই রিয়েল কাপলকে। সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৯-এ সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন প্রিয়ম চক্রবর্তী এবং শুভজিৎ কর। আর বিয়ের দু-বছরের মধ্যেই বাবা-মা হয়েছেন তাঁরা। আপাতত ছেলেকে নিয়ে বেশ আনন্দেই আছেন।