দেশপলিটিক্সবিনোদনরাজ্য

‘বাংলায় নতুন ইতিহাস গড়বে বিজেপি’, কর্মসমিতির বৈঠকে বললেন জেপি নাড্ডা

Advertisement

সারা দেশ জুড়ে চলছে আলোর উৎসবের মরশুম। সবে মিটেছে দীপাবলি। তার মধ্যেই রবিবার রাজধানী দিল্লিতে শুরু হয়ে গেল  বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। কোভিড আবহে দীর্ঘদিন পর বৈঠকে যোগ দিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে যোগ দিতে এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়াদিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে পৌঁছে যান। জেপি নড্ডা, অমিত শাহ সহ বাংলার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা অধুনা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

বছর ঘুরতেই উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। যা লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল বলা যেতে পারে। এই বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে মূল বিষয়বস্তু হিসেবে বলেই জানা গিয়েছে। তবে এত কিছুর মাঝে বাদ গেল না বাংলার প্রসঙ্গ। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার যে অভিযোগ বার বার প্রকাশ্যে উঠে এসেছে, আজ সেই কথা ফের একবার উঠে এল বিজেপির জাতীয় কার্যসমিতির বৈঠকে। জে পি নাড্ডা বললেন, “আমাদের ৫৩ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। মানুষ এখনও সেখানে ভয়ে অন্য কোথাও গিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন ।”

সম্প্রতি বাংলায় শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল বেছে বেছে দলের লোকেদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর সেই ইস্যুতেও পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বাংলার দলীয় নেতা ও কর্মীদের অনুপ্রেরণা করতে তাঁর বার্তা, “বাংলা ও রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য আমরা আরও লড়াই করব।”

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত হল বিধানসভা উপনির্বাচন৷ আর পশ্চিমবঙ্গের মূল চারটি আসনেই কার্যত শাসক দলের কাছে হার মানতে হয়েছে বিজেপির। তিনটি কেন্দ্রে একেবারে ভরাডুবি হয়েছে পদ্মফুলের। একের পর এক নেতা, যাঁরা ভোটের আগে বিজেপিতে এসেছিলেন, এখন তারা আবার দলত্যাগী হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির নিচুতলার দলীয় কর্মীদের মনোবল আরও শক্ত করতে এবং নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়লো নাড্ডা। আর নাড্ডার এই ‘ভোকাল টনিক’ অনেকটাই দলের কর্মীদের কাজের দাওয়াই বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

Related Articles

Back to top button