Soumitra Chatterjee’s Death Anniversary: প্রিয় অভিনেতা মৃত্যুবার্ষীকি! বাবার লেখা নাটক নিজের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ করলেন পৌলমী
এক বছর হয়ে গেল সৌমিত্র হারা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। গত বছর এই দিনেই ইন্দ্রপতন হয়েছিল বাংলা সিনে আর নাট্য জগত। সকলকে ফাঁকি দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দেখতে দেখতে বছর ঘুরে গিয়েছে। আজ ‘অপু’র মৃত্যু বার্ষিকী। গত বছর ১৫ই নভেম্বর কোভিড পরবর্তী অসুস্থতার জেরে প্রাণ হারান বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় ‘ক্ষিদ্দা’। শুধু যে বাংলা ছবির দর্শক, অসংখ্য ভক্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়েছে তা তো নয়। অভিনেতার মেয়ে পৌলমী বসুও হারিয়েছেন তাঁর বাবাকে।
এই বাংলার প্রতি ছিল সকলের প্রিয় ফেলুদার অগাধ ভালোবাসা ছিল। ছবির পাশাপাশি মঞ্চের প্রতি টানও ছিল প্রবল। একাধারে সিনেমাতে অভিনয়ের পাশাপাশি দাপটের সাথে নাটক উপস্থাপনা করেছেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক আগের দিন, প্রিয় নাট্যকারের স্মরাণে তাঁর রচিত নাটক ‘টাইপিস্ট’ মঞ্চস্থ হল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ। আর এইনাটকের নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেম সৌমিত্রর সুযোগ্য তনয়া পৌলমী বসু। এদিন ‘মুখোমুখি ‘ নাট্যগোষ্ঠীর তরফে মোট দুটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। একটা নতুন (টাইপিস্ট), আর একটা পুরনো। পুরনো নাটকটির নাম ‘দুটি কাপুরুষের কথা’।
পৌমলী দেবী এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘ভালো লাগছে, কারণ এই নাটকের মাধ্যমে বাবাকে আবার কাছাকাছি পাচ্ছি। এই নাটকের মাধ্যমে বাপির ছোঁয়া খুঁজে পাচ্ছি, প্রত্যকেটা সংলাপে মনে হচ্ছে বাবা আমার সঙ্গে আছে, পাশে আছে’। পৌলমী বসুর পাশপাাশি এই নাটকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা দেবশংকর হালদার। তিনিও জানান, ‘প্রত্যেকটা দিনই সৌমিত্র স্মরণের দিন। তাঁকে স্মরণ করবার জন্য আলাদা দিনের দরকার পরে না। তবুও আমাদের মন খারাপ হয়। তবে এই নাটকের অনুশীলনের সময় যখন ওঁনার ব্যবহৃত কোট, মাফলার ব্যবহার করছি তখন শিহরিত হচ্ছি’।
দেবশংকর হালদার আরো জানান, সকলের প্রিয় অভিনেতা ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতেন তাঁর নাটকের প্রত্যেকটা বিষয়ের সঙ্গে, আর সেটি মঞ্চস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টের দিকে কড়া নজর থাকত তাঁর। সেই শূন্যতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব কোনোদিন হবেনা। পৌমলী কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সৌমিত্রবাবু নিজে চাইতেন তাঁদের নাট্যগোষ্ঠী যেন সবসময় কাজ করে, দলের কেউ যেন বসে না থাকে। আদ্যোপান্ত পজিটিভ মানুষ ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কাজ পাগল মানুষ। অসুস্থ হওয়ার আগে অব্দি সিনেমা,নাটক, বই লেখার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। পৌলমীর কথায়, ‘বাপি বলতেন, জীবনকে আলিঙ্গন করো। জীবনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না। সেই জন্য জীবনের থেকে মুখ না-ফিরিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কাজের মধ্য দিয়েই ওঁনাকে ট্রিউউট দিতে চাই’।এদিন দুই নাটকের মাধ্যমে তাঁর নাটকের দল প্রিয় অভিনেতাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিলেন।